স্বাস্থ্য ও জীবন:প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে মৌরি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি কেবল খাবারে স্বাদ ও সুগন্ধি আনে কিংবা মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় তা নয়। এতে রয়েছে নানা ওষধি গুণ।
নিচে মৌরির কয়েকটি ওষধি গুণ তুলে ধরা হলো:
১। মুখে ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পর মৌরি সরবরাহ করা হয়। কারণ এটি মুখে ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত তেল যা নিঃশ্বাসকে সজীব করে। যদি খাবার গ্রহণের পর আপনার মুখে পেঁয়াজ কিংবা আদা রসুনের গন্ধ থাকে তবে মুখে নিতে পারেন কয়েকটি মৌরি বীজ।
এমনকি আপনি এই বীজকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য যা করতে হবে তা হলো, এক গ্লাস পানিতে এক টেবিলচামচ মৌরি ঢেলে তা ফুটিয়ে নিন। কুসুম গরম অবস্থায় এটি মাউথ ওয়াশের মতো ব্যবহার করুন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এটি সস্তা এবং অরগ্যানিক।
২। হজমে সাহায্য করে আপনার যদি দাদি বা নানিকে আপনার পেটের সমস্যার সমাধান বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, দেখবেন তিনি আপনাকে শুধু কিছু মৌরি বীজ চিবাতে বলবেন। কেননা, এটি হজমে সাহায্য করে।
আমাদের এই প্রজন্মের মধ্যে জাঙ্ক ফুড গ্রহণের প্রবণতা অনেক বেশি। ফলে পেটের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি মৌরি বীজ এসব স্বাস্থ্য সমস্যায় সহায়তা করতে পারে।
৩। ওজন কমাতে সাহায্য করে ওজন কমাতে মৌরি বীজ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই বীজ বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। ভালো ফল পেতে রাতে এক কাপ মৌরি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই পানি পান করুন। দেখবেন ওজন কমাতে কেমন জাদুর মতো কাজ করে।
৪। ব্রণে বাধা দেয় ব্রণ সমস্যায়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন মৌরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি ত্বকে প্রয়োগ করলে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
৫। রক্ত পরিশোধনে মৌরিতে থাকা তেল ও ফাইবার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে। এটি রক্ত পরিশোধনের কাজে অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়।
৬। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাসিয়ামের একটি গুরুত্বপূণ উৎস মৌরি। এটি হৃদরোগ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৭। মূত্রনালীর সমস্যায় মৌরি বীজ নিয়মিত খেলে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ এবং মূত্রনালীর সমস্যার সমাধান করে। আপনি যদি মৌরি ভেজা পানি পান করতে না চান তবে উপাদানটি আপনার দৈনন্দিন চায়ের সঙ্গে পান করতে পারেন।
৮। আয়ুর্বেদিক মূল্য উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও মৌরির রয়েছে যথেষ্ট আয়ুর্বেদিক মূল্য। এই বীজ শরীরে শীতল প্রভাব ফেলে এবং গ্রীষ্মের সময় এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এই বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল স্নায়ুকে শান্ত করতে ম্যাসেজ তেল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
সূত্র : এএনআই