রাজনীতির খবর: বিএনপির মহাসচিব ও বগুড়া-৬(সদর) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়েছে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব সাইফুল ইসলামের জ্যাকেটের কলার ধরেন। বুধবার দুপুর ১টায় বগুড়া শহরতলী ঠেঙ্গামারায় অবস্থিত পাঁচতারতা হোটেল মম ইন এর লিফটে এই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মহাসচিব জেলা বিএনপি সভাপতি কলার ধরেননি। বিষয়টি তেমন কিছু নয়।’ জেলা বিএনপি সুত্রে জানা গেছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও থেকে সড়ক পথে ঢাকায় যাবেন। সেজন্য তিনি বগুড়ায় যাত্রাবিরতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বগুড়ার নেতাদের কাছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের পরে বগুড়ায় তার আসা না হওয়ায় ইচ্ছা পোষণ করেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার। সেই ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেন বগুড়ার নেতাদের। বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাদের আলোচনা হয়।
দলের একটি ঘনিষ্ট সুত্র জানায়, এই মতবিনিময় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. শোকরানার চার তারকা হোটেল নাজ গার্ডেনে করার কথা। কিন্তু সেখানে বিভিন্ন সমস্যার কারণে পরে তা পর্যটন মোটেলে করার কথা থাকলেও সেখানে হয়নি। পরে পাঁচতারকা হোটেল মম ইন এ করা হয়। বুধবার দুপুর ১২টায় এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা গেছে, দুপুর একটায় সভা শেষে মহাসচিবকে নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানঁসহ কয়েকজন নেতা হোটেলের ৭তলা থেকে লিফটে নিচে নামছিলেন।
এ সময় স্থানীয় নেতাদের জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে মিটিং হবে তা আমাকে আগে বলা হয়নি কেন? এই নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে মহাসচিব সাইফুলকে বলেন, এখানে প্রেসের লোকজন আছে, তোমরা এমন করছো কেন। এমন সময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মহাসচিব সাইফুলের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অন্য নেতারা তখন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বলেন, মহাসচিব সাইফুলের কলার চেপে ধরেননি। তবে এই মতবিনিময় সভা করা নিয়ে আমাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সময় তিনিও জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তেমন কিছু নয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।