নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত ”দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা” পত্রিকার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, শ্যামনগর প্রেসক্লাব সভাপতি আকবর কবিরসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে রেজওয়ান উজ জামান (আমলী আদালত-৫) মামলা হয়েছে। মামলায় হাইকোর্টের আদেশ অবমাননা ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। শুনানী শেষে মামলাটি শ্যামনগর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। মামলার অপর দুই আসামীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার তারানীপুর গ্রামের হাতেম গাজীর ছেলে আব্দুল আলীম ও সোরা গ্রামের মোবারক গাজীর ছেলে আল মামুন। মামলার বাদী শ্যামনগর উপজেলার মানিকখালি গ্রামের হাজী আবুল হোসেনের ছেলে হুমায়ূন কবির। মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, উপজেলার রমজাননগর মৌজার এসএ ৪৩৭ খতিয়ানে ২৫৬৯ দাগসহ কয়েকটি দাগে ১৫ শতক জায়গায় একটি মার্কেট রয়েছে। এই মার্কেটের পাশে খাদ্য গুদাম থাকায় ২০১৪ সালে খাদ্য গুদামের ওসি বাদীকে উচ্ছেদের নোটিশ দেন। বাদী ঐ নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করিয়া হাইকোটে ৯১৯৬/১৪ নং এক রিট মামলা দায়ের করেন। আদালত রুল জারি করে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত করেন। আদালত এই আদেশের সময় বর্ধিত করেছেন যা এখন ও বহাল আছে। তারপরও আসামীরা ব্যক্তিগত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আদালতের আদেশ সম্পর্কে মিথ্যা উক্তি লিখে আদালতের আদেশ অমান্য করে উচ্ছেদ করতে প্রেরণা জুগিয়েছে। একই সঙ্গে মানহানিকর উক্তি করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। মামলার বাদী হুমায়ূন কবির বলেন, আদালত মামলাটি শুনানী শেষে ১৪৩, ৪৪৭, ১৯৩, ২০৯, ৫০২ ও ৫০৬ ধারায় এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য শ্যামনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি সাইবার ট্র্যাইবুন্যালে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, আমি হাইকোর্টের কাগজপত্র, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপিসহ স্বপক্ষের নথিপত্র আদালতে দাখিল করেছি। জুডিশিয়াল পেশকার ইদ্রিস আলী শোভন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী এ্যাড. শেখ ত্বোহা কামাল উদ্দীন হিরা। মামলার বিষয়ে আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু বলেন, মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে আদালত আতœপক্ষ সমর্থনের আগেই এফআইআরের নির্দেশনা দিলে সেটা দুঃখজনক। এদিকে, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, আদালত থেকে নির্দেশনা এখনো পায়নি। নির্দেশনা পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।