নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শ্রমিকরা। ভোমরা স্থল বন্দরের ৪টি ইউনিয়নের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে। কিন্তু শ্রমিকরা নির্ধারিত মজুরী পাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে ৪টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের যোগসাজোসে লেবার ঠিকাদার এই মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। উপরোন্ত ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- খুলনা ১৭২২, ভোমরা বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- খুলনা ১৯৬৪ এর নির্বাচন হয়েছে ২০১২ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি এবং ভোমরা স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- খুলনা ১১৫৫ ও ভোমরা স্থল বন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং রেজিঃ নং- ১১৫৯এর নির্বাচন হয়েছিল ইং-২৮ এপ্রিল ২০১২সালে। এ পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউনিয়নের নির্বাচন না দিয়ে ২০১৫ সালে কাগজ কলমে ভূয়া একটি নির্বাচন দেখিয়ে ৪টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকার বিরুদ্ধে নির্বাচনের দাবীতে যুগ্ম শ্রম পরিচালক খুলনা বিভাগ বয়রা খুলনা এর নিকট ৪টি ইউনিয়নের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর থেকে সহকারি পরিচালক কনক রাণী ঘোষ সোমবার সকাল ১০টায় তদন্তে আসলে ৪টি ইউনিয়নের ৫ শতাধিক শ্রমিক ভূয়া নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। তদন্তকারি কর্মকর্তার নিকট ২০১৫ সালের ভূয়া নির্বাচনের সঠিক কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হয়। এছাড়া ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজীসহ ভোমরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোনাজাত আলী ও অধিকাংশ ইউপি সদস্যগণ ভোমরা স্থলবন্দরের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে ২০১৫ সালের ভূয়া নির্বাচন বাতিল করে ৪টি শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লিখিত দাবি জানান। এখানে আরো উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং নব-নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম এই ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুপারিশ করেছিলেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা ৪টি ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিকট জিজ্ঞাসা করেন যে, উল্ল্যেখিত ৪টি শ্রমিক ইউনিয়নের ২০১২ সালের গোপন ব্যালটের নির্বাচনের পরে আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা। তখন সকলে এক বাক্যে বলেছেন যে, ২০১২ সালের পরে আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নাই। এসময় তদন্তকারি কর্মকর্তা উত্তেজিত ও বিক্ষ¦ুর্দ্ধ শ্রমিকদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, আমি সঠিক কাজটিই করবো এবং নির্বাচনের ব্যাপারে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যারা নির্বাচন চাইছে তাদের বিরুদ্ধে একটি স্বাথোন্বেষী মহল মামলা হামলার হুমকি প্রদর্শণ করে চলেছে। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। এভাবে যদি ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় এ ধরনের বিশৃঙ্খলা চলতে থাকলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্খা করছে সাধারণ শ্রমিক ও সচেতন মহল।