সাতক্ষীরা

হাসপাতা‌লে মন নেই সাতক্ষীরার চি‌কিৎসকদের

By daily satkhira

January 28, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পদ ২৭টি। বর্তমানে দায়িত্বে আছেন ১৩ জন। তারাও নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। শহরে বিভিন্ন ক্লিনিকের মালিকানা থাকায় অফিস সময়েও সেদিকেই নজর বেশি তাদের। তার ওপর আছে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাকটিস। ১৩ জন চিকিৎসকদের মধ্যে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, রাজিব কওছার, শরিফুল ইসলাম ও প্যাথলজিস্ট হাফিজা খাতুন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ আছে। আব্দুস সালামের হাসপাতালটির সার্বিক দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও দিনে এক-দুই ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন বলে অভিযোগ আছে। যদিও তিনি এই কথা অস্বীকার করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি নিয়মিত হাসপাতালে থাকি। দায়িত্বও পালন করি। যারা এ অভিযোগ দিয়েছেন তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।’ চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আছেন ভারতে আর হাফিজা খাতুন সপ্তাহে দুই-একবারের বেশি আসেন না। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে। শিশু চিকিৎসক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সার্জন, অর্থপেডিক্স সার্জন, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞও নেই। যারা ছিলেন তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে নিয়োগ নিয়ে চলে গেছেন। সদর হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, যেসব চিকিৎসক মেডিকেল কলেজে বদলি হয়েছেন, তারা সবাই সদর হাসপাতালে সময় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বদলি হওয়ার পর সে কথা ভুলে গেছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ সামছুর রহমান দিনে দুবার রাউন্ড দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানালেও বাস্তবে দিনে একবার হাসপাতালে আসেন। কোনো কোনো দিন একবারও আসেন না। ফলে শিশু রোগীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ে। ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালের দুদকের হানার পর থেকে নিয়মিত হাসপাতালে আসছেন অন্য চিকিৎসকরা। সরকার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সেবাও দিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১৩ জন। তারা সবাই নিয়মিত। বতর্মানে হাসপাতালে কোনো কনসালটেন্ট নেই। ফলে রোগীদের সেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যে কারণে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে। তবে আমার জানামতে ১৩ জন চিকিৎসক নিয়মিত অফিস করেন রোগী দেখেন।’ সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, ‘সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ঠিকমতো রোগীরা সেবা পান না। চিকিৎসকরা নিয়মিত অফিস করে না। তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে। তারা রোগীদের ভাগিয়ে ক্লিনিকে পাঠায়। পরে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।’ ‘হাসপাতালের বাথরুমগুলো অত্যন্ত নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। এ ছাড়া হাসপাতালের এমসি দেওয়ার নামে একটি চক্র মোটা অংকের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।’