দেশের খবর: সিলেট নগরের দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার এক বাসা থেকে শিশুদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে পুলিশের একজন এসআইসহ দুই জনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় দুই শিশুকে উদ্ধার করে সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় সিলেট ৭ আর্মড পুলিশের এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার ভুয়া স্ত্রী রিমা বেগমের নামে মানবপাচার ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মনিরুজ্জামান জানান, দাড়িয়াপাড়া এলাকার মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুদের ইয়াবা সেবন করিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো বলে জানা গেছে। আটক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া সিলেট ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত। উদ্ধার শিশুদের মধ্যে একজনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও অন্যজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মাঝিকোনা গ্রামে।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা জানান, র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সিলেট ৭ আর্মড পুলিশের এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার ভুয়া স্ত্রী রিমা বেগমের নামে থানায় মানবপাচার ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। উদ্ধার দুই শিশুকে সিলেট সেইফ হোমে রাখা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, উদ্ধার দুই শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালতের বিচারক তাদের সিলেট সেফ হোমে প্রেরণ করেন। দুই শিশু আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে, তাদের জোর করে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতনের পাশাপাশি ইয়াবা সেবন করানো হতো। ইয়াবা সেবন করিয়ে পুলিশের এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার ভsয়া স্ত্রী রিমা বাসায় আসা বিভিন্ন লোকের কাছে টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতো তাদের। কথা না শুনলে মারধরও করা হতো দুই শিশুকে।