জাতীয়

এ মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরবো: দুদক চেয়ারম্যান

By Daily Satkhira

January 29, 2019

দেশের খবর: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, রিপোর্ট দেওয়ার নামে ‘সুইপিং কমেন্টস’ (যাচ্ছেতাই মন্তব্য) করলেই হবে না। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগারসহ (তথ্য-উপাত্ত) পরামর্শও দিতে হবে।

তিনি বলেন, গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। আপনাকে বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতি করছেন। কারা কিভাবে কোথায় অর্থপাচার করছে। নইলে, এ মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরবো? কাকে খুঁজবো? আপনাদের রিপোর্টে যদি অ্যানালিটিকস না থাকে, ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না থাকে, তবে সে রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। রিপোর্ট দেওয়ার নামে সুইপিং কমেন্টস করলেই হবে না। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগারসহ পরামর্শও দিতে হবে। তাদের সঙ্গেতো আমাদের সহযোগিতা আছে। তাই মুখের কথাতো গ্রহণ করা যায় না।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, ২০১৮ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। এখনকার অবস্থান ১৩তম।

আগের দিন সোমবার (২৮ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই তাদের এক রিপোর্টে জানায়, কেবল ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর পাচার হয়েছে। গত ১০ বছরে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অংক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার অর্থাৎ ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

দ্বিমত থাকলেও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।

টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিআইবিকে আমরা আগেও বলেছি, আপনারা কোন মেথোডলজি ইউজ (কর্মপদ্ধতি ব্যবহার) করেছেন, আমাদের জানান। নিশ্চয়ই তাদের কাছে অ্যানালিটিকস (বিশ্লেষণ) আছে। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার আছে। আমাদের কাছে এখনো প্রতিবেদনটা এসে পৌঁছায়নি। হাতে এলে আমরা তা দেখবো।