সাইদুজ্জামান (শুভ) : খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক পাটকেলঘাটা থেকে ত্রিশ মাইল পর্যন্ত এই রোডটি এখন মৃত্যু কূপে পরিণত হয়েছে। বিগত ২০১৬ সাল থেকে পাটকেলঘাটা শাকদাহ ব্রিজ এর সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক এর ধাক্কায় ঝরে যায় একটি তাজা প্রাণ, ঠিক তারই ১৩ দিনের মধ্য আবার ও মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু ঘটে এক বৃদ্ধের। ওই বছরে ঠিক শেষের দিকে এসে ট্রাক ও ইঞ্জিনভ্যান এর ধাক্কায় মারা যায় আরও ১ জন। এবার ২০১৭ সাল এর মার্চ মাসে এসে আবার ও একটি দূর্ঘটনা ২০১৭ সালে এই পাটকেলঘাটা থেকে ত্রিশ মাইল এই রোড টি মধ্য মারা গিয়েছে মোট ৭ জন তাজা প্রাণ। এবার ২০১৮ সালে মৃত্যুর রেকর্ড সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। একদিনে ট্রাক ও পিকাপ ভ্যান এর সংঘর্ষে একই পরিবারে ৭ জন এর মৃত্যু তার কিছুদিন পরেই আবার ও মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় ঝরে যায় আরও একটি প্রাণ । ২০১৯ সাল এর জানুয়ারি মাসে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে ভৈরবনগর এ যশোর এর উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি বাস এর ধাক্কায় নিহত হয় নচিমন এ বসে থাকা যাত্রী শাহিনুর (১৪) নামে এক শিশু। আর কত ঝরে যাবে এভাবে শিশু, বৃদ্ধা, যুবকের প্রাণ। সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে পাটকেলঘাটা থেকে ত্রিশ মাইল পর্যন্ত এই মৃত্যুকূপ নামে পরিচিত পাওয়া সড়কের কোথাও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ বিট নেই। ফলে দূর্ঘটনা বাড়ছে ফলে জানিয়েছেন অনেকে। বার বার রাস্তায় উন্নয়ন কাজ চললেও এই সড়কটিরকোথাও কোনো উঁচু বিট বসাতে লক্ষ্য করা যায়নি ,কেন এই অবহেলা সেটা জানা নেই সাধারণ মানুষের। সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে পাটকেলঘাটা থেকে ত্রিশ মাইল পর্যন্ত এই সড়কটি এখন একটি আতঙ্কের নাম। সাতক্ষীরা থেকে খুলনা এই সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য পথচারী চলাচল করে থাকে, কিন্তু উুঁচ কোন বিট না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এছাড়া অদক্ষ চালক ও হেলপারা গাড়ী চালাচ্ছে। শুধু তাই নয় বেপরোয়া গতিতে গড়ি চালানো তাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কে পাটকেলঘাটা থেকে ত্রিশ মাইল পর্যন্ত এই টুকুর মধ্য ১০ টি উুঁচু বিট বসানো দাবি করছে এলাকাবাসী।