প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার তালায় আপন চাচার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে তার ভাইপোদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার গংগারামপুর গ্রামের মৃত ওমর আলী বিশ্বাসের ছেলে নওয়াব আলী বশ্বাস। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের চার ভাই ও দুই বোনকে রেখে আমার বাবা মারা যান। আমরা লেখা পড়া জানিনা এবং কাগজপত্র না বোঝায় আপন চাচা বাবর আলী বিশ্বাসের কাছে বাবার জমির সকল কাগজপত্রাদি ছিল। ১৯৯১ সালে মাঠ জরিপ হওয়ার পরও আমরা পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ আমার চাচা বাবর আলী বিশ্বাস বলছেন “তোদের এখানে কোন জমি নেই, তোরা কোন জমি পাবি না”। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তালা থানার ওসি বসাবসি ও মাফজরিপ কেরও কোন ফল পাওয়া যায়নি। সঠিক কাগজ দেখাতে না পারায় বিবাদী পক্ষের অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, গংগারামপুর মৌজার খতিয়ান নং-২২৩, জে.এল নং-১৩৬ এর ৯৮৮ দাগে ১ একর ২২ শতক জমির মধ্যে আমার বাবার পাওনা ৬১ শতক। এর মধ্যে প্রথমে ১৬ শতক চাচা বাবর আলী বিশ্বাসের কাছে ১০ শতক সোনাই নাথ এবং পরে আরো ৫ শতক বাবর আলী বিশ্বাসের কাছে বিক্রি করেন। বাকি ৩০ শতক আমাদের পাওনা হলেও বর্তমান মাঠ জরিপে আমার নামে রেকড হয়েছে ২৬ শতক জমি। এই ২৬ শতক জমির মধ্যে তারা বিভিন্ন সময়ে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। একই গংগারামপুর মৌজার ৯৮৭ দাগে ৫৩ শতক জমির মধ্যে আমার পাওনা ১৩ শতক। এর মধ্যে ৫শতক জমি বাবর আলী বিশ্বাসের কাছে বিক্রি করি এবং বাকি ৮ শতক জমি পাওনা। যা এওয়াজ সূত্রে আমার বাস্ত ভিটা থেকে দেয়ার কথা। কিন্তু তা না দিয়ে উপরোক্ত ৫৩ শতক জমি তারা জোর পূর্বক ভোগদখল করে আসছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গংগারামপুর মৌজার দু’টি দাগ মিলে আমাদের মোট জমি ৩৪ শতক। যা চুড়ান্ত খতিয়ানে পাবলিষ্ট হয়ে গেছে। বাকি জমির কাগজপত্র হাজির করেনি। তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।