প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় গর্ভের সন্তান নষ্ট এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলা তুলে নিতে স্বামী তার স্ত্রীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত আকবর আলীর মেয়ে মোছাঃ পাপিয়া সুলতানা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০১৮ সালের ১জানুয়ারি রইচপুর এলাকার মৃত. আব্দুস সবুর সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল¬াহ সরদারের সাথে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর জানতে পারি তার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী সাইফুল¬াহর সঙ্গে মনোমালিন্য হলে সে আমাকে শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করার পাশাপাশি যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায় তার ঔরশে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সাইফুল¬াহ সন্তান নষ্ট করার জন্য বলে। কিন্তু আমি রাজি না হয়ে ডাঃ রাবেয়া বেগমের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলাম। ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র নিয়ে স্বামী সাইফুল¬াহ কৌশলে আমাকে সন্তান নষ্ট করার ঔষুধ এনে দেয়। যা খেয়ে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রক্তক্ষরণ হয়ে আমার পেটের বাচ্চা পড়ে যায়। ১৭ নভেম্বর সাইফুল¬াহ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে আমার ভাড়া বাসায় এসে যৌতুক দাবি করে আমাকে মারপিট করে এবং টাকা না দিলে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর আকস্মিকভাবে সাইফুল¬াহ আমার কাছে তালাকের নোটিশ পাঠায়। আমি গোপনে জানতে পারি টাকার জন্য সে আমার সাথে প্রতারণা করছে। পরবর্তীতে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে সাইফুল¬াহ গত ৪ জানুয়ারী পুনরায় আমাকে বিয়ে করতে সম্মত হয় এবং ওই দিনই আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পুনরায় বিয়ে করে। এঘটনার একদিন পর সাইফুল¬াহ আরো আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করে না দিলে আমাকে ফের তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া পরের বিয়েটি অস্বীকার করতে শুরু করে এবং কাজীকে বলে তার রেজিস্ট্রার খাতা থেকে আমার কাবিন নামা ছিড়ে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন, এঘটনার পর আমি নিজে বাদি হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি সাতক্ষীরা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপর তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলা করায় সাইফুল¬াহ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকি দিয়ে বলছে ‘তুর মুখে এসিড মেরে ঝলসে দেবো, পথে ঘাটে একা পেলে খুন জখম করা হবে। অর্থের লোভে সে আমার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছে। আমাকেও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। বিয়ের প্রমান নষ্ট করতে কাজীর রেজিস্ট্রার থেকে কাবিন নামা ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। বর্তমানে তার ভয়ে আমি আতংকিত হয়ে পড়েছি। তিনি নারী লোভি সাইফুল¬াহ’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।