আশাশুনি

নূরোল ইসলাম জীবন শায়ান্নেও স্বীকৃতি বঞ্চিত

By daily satkhira

February 07, 2017

আশাশুনি ব্যুরো : জীর্ন শায়ান্নে অবলোক নয়নে ভ্যাল ভ্যাল করে তাকিয়ে তিনি যেন ভেবে চলেছেন জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে অংশ নিলেও আজকে যোগ্য মর্যাদা ছাড়াই তাকে চলে যেতে হবে!  স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর যোদ্ধা মোঃ নূরোল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সনদ হাতে থাকলেও দীর্ঘ ৪৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত রয়েছেন। “স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁর অবদান চির উজ্জ্বল হয়ে রইবে” -এই প্রত্যাশার কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র প্রদান করা হয়েছিল। সনদপত্রের পিছনে ক্রমিক নং রয়েছে। ক্রমিক নং ৪৫১২২। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব তসলীম আহমদ এবং মুজীব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেটটি এখনো তাঁর কাছে রয়েছে। এই সনদটি এখন তাঁর ও তাঁর সন্তানদের কাছে সম্বল ও স্মৃতি হয়ে রয়েছে। কিন্তু পরম পরিতাপের বিষয় তিনি এখনো মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হতে পরেননি। যুদ্ধপরবর্তী জীবনে তিনি অংকের শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করেছেন। ২০১০ সালে সফল চাকরীজীবন শেষে কর্মহীন জীবনের মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই তিনি প্যারালাইসিস-এ আক্রান্ত হয়ে চরম অসহায় জীবনযাপন করছেন। অনুভূতিশীল মনে হলেও অনুভূতি প্রকাশের শক্তি হারিয়ে ফলেছেন। জীবনের তুয়াক্কা না করে দেশের তরে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেওয়া মানুষটি বীরমুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র হাতে পেলেও সরকারি স্বীকৃতি (তালিকাভুক্ত হওয়ার গৌরব) পেতে পারেন সেব্যাপারে তাঁর সন্তানেরা বিভিন্ন সময় চেষ্টা করলেও এখনো তা সম্ভব হয়নি। অন লাইনে আবেদনের বিষয়টি ৬৭ বছর বয়সী (বয়সের ভারে ন্যুজ) বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরোল ইসলামের সন্তানেরা জানতে পারেননি। এখন জানতে পেরে তারা সরকারি স্বীকৃতি পেতে ছুটে এসেছেন সদর উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির সামনে। সদাশয় সরকার ও যাচাই বাছাই কমিটির কাছে তথ্য দিয়ে মুত্যুর পূর্বে যোগ্য স্বীকৃতির সুযোগ পাবে সেই মানসিকতা নিয়ে আকুল নয়নে অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।