মীর খায়ারুল আলম: দেবহাটার ঢেপুখালীতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তপ্রাপ্ত সরকারী জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিনের ভোগদখলে থাকা প্রায় ৮৪ শতক কৃষি খাঁস জমি সরকারী নিয়ম মোতাবেক ভূমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের বিড়ম্বনা নামক বছরব্যাপী অফিস থেকে অফিসে কর্তাদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে শেষে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৯৯ বৎসর ভোগদখলের রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল বা কবুলিয়ত অনুযায়ী চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় ফয়জুল ইসলাম নামের এক অসহায় ভূমিহীন এবং ত্যাগী আওয়ামীলীগ পরিবারকে। তাদের উচ্ছেদ সহ দলিলপ্রাপ্ত সরকারী গোটা সম্পত্তি অবৈধভাবে জবরদখলে নিতে মিথ্যা, বেনামী অভিযোগ দায়ের, মোটা টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশসহ বর্তমানে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইচ্ছানুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন তৈরীতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ,ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যহত রয়েছে। তার পাশাপাশি জবরদখলের জন্য মোটা টাকার মিশন নিয়ে সীমাহীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে সহিংসতাকালীন নাশকতা কর্মকান্ডে অভিযুক্ত জামায়তী এজেন্ট ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু ‘বায়েজিদ’র বিরুদ্ধে। প্রাপ্ত তথ্য ও এলাকাবাসীর দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে বিগত বছর জেঃপ্রঃ সাতঃ – বন্দোবস্ত কেস নং-১১৮/১৪-১৫ মামলাটির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা সম্বলিত নিষ্পত্তি প্রাসঙ্গিক পত্র (নং- ৩১.৪৪.৮৭০০.০০৬.০৭.০২০.১৪-৩৭৭,তাং-১৫-০২-১৫ ইং) অনুযায়ী ১৪ই জুলাই ১৫ তারিখে দখলসূত্র এবং অগ্রাধিকার নিশ্চিতের ভিত্তিতে দেবহাটা উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার এবং নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন চুড়ান্ত দলিলে স্বাক্ষর সম্পন্নের মাধ্যমে অসহায় ভূমিহীন নেতা ফয়জুল ইসলামের পুত্র মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের নামে ৯৯ বৎসরের জন্য অর্থাৎ (বাংলা ৭ই ফাল্গুন ১৪২১ সন হইতে ৬ই ফাল্গুন ১৫২০ সন,অপরদিকে ইং ১৯ ফেব্র“য়ারী ২০১৫ হইতে ১৮ ফেব্র“য়ারী ২১১৪ ইং সন পর্যন্ত) ভোগদখলের যাবতীয় দায়িত্ব হিসেবে সখিপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মাধ্যমে কৃষি খাস জমি বন্দোবস্তের কবুলিয়ত বা রেজিস্ট্রি পরবর্তী দলিল (দলিল নং-১৩৩৭,ক্রমিক নং-১৩৩৮) ভূমিহীন মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের হাতে তুলে দেন। কিন্তু ভূমিহীন মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের নামে সরকারী বন্দোবস্ত দেয়ার পরেও লোভী ভূুমিদস্যু ও জামায়তী এজেন্ট স্থানীয় আব্দুল করিম গাজীর পুত্র বায়েজিদ হোসেন ও তার দলবল উক্ত জমিটি অবৈধভাবে দখলে নিতে দীর্ঘদিনের কুমতলব ও নীলনকশা অনুসারে অসহায় ওই পরিবারটিকে সর্বশান্ত সহ সম্পত্তি জবরদখলের এসব অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভূমিদস্যু বায়েজিদ হোসেন ও তার দলবলের চলমান অপচেষ্টায় বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ভূক্তভোগী ও বন্দোবস্ত গ্রহীতা মাসুদ রানা,তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন এবং ফয়জুল ইসলাম বলেন, বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ওই সম্পত্তির অন্তভূক্ত পুকুরে মৎস্য চাষ করেই তাদের পরিবারের জীবন ধারনের আংশিক প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে। মূলত তাদের জীবিকার একমাত্র এ উৎস্য মৎস্য চাষের পুকুরটিই ভূমিদস্যু বায়েজিদ ও তার বাহিনীর জবরদখলের প্রথম টার্গেটে পরিনত হয়েছে। যেকারনে দখল প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধ চক্রটি এখন মরিয়া হয়ে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বন্দোবস্তের সকল কাগজপত্র সহ দখলবাজ এ চক্রের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রনালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ দাবী করে পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনের নির্দেশনা নিয়ে মামলা দায়ের করবেন বলেও তারা জানান।