বিদেশের খবর: সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের দমনপীড়নের কারণে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে সৌদি নাগরিকরা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর হিসাবে ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সৌদি শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে আজ রবিবার বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘দমনপীড়নের’ মুখে দেশটির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উন্নত দেশের দিকে পা বাড়াচ্ছেন সৌদি আরবের নাগরিকরা। প্রতিবেদনটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ইউএনএইচসিআর-এর এক হিসাবে দেখা যায় ২০১৫ সালে সৌদি আরবের রাজনীতিতে যুবরাজ সালমানের আবির্ভাবের পর ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি তথা ২ হাজার ৩৯২ সৌদি নাগরিক বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশ ছাড়াকে একটি ‘জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় গ্রহণকারী একজন সৌদি শরণার্থী। নিরাপত্তার কারণে তিনি নিজের নাম ‘নওরাহ’ বলে জানিয়েছেন সিএনএন’কে।
অথচ ১৯৯৩ সালে যখন সৌদি নাগরিকদের অন্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা প্রথম রেকর্ড করে তখন এর সংখ্যা ছিলো মাত্র সাতজন। কিন্তু, বর্তমান যুবরাজ ক্ষমতায় আসার পর তার ‘দমননীতির’ ফলে সারাদেশ থেকে শরণার্থীদের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়ে চলছে বলে জানানো হয় ইউএনএইচআর এর পক্ষ থেকে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক গবেষক অ্যাডাম কুগলি সিএনএন’কে বলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের রাজনৈতিক দমননীতির কারণে লোকজন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। আমি মনে করি, শরণার্থীদের সংখ্যার দিকে তাকালে বিষয়টি অনুধাবন করা যায়।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকরা নিজ দেশের দূতাবাসে যেতেও ভয় পাচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।