আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবে ১৮০০ সেনা পাঠাবে বাংলাদেশ

By Daily Satkhira

February 05, 2019

দেশের খবর: সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছে সেনাপ্রধান।

আজ সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।

চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটেলিয়নে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে জানান সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ।

এদিন সেনাপ্রধান সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি দুদেশের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান সোমবার সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশ এর সঙ্গে রিয়াদে এক বৈঠক করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সৌদি ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটেলিয়নে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে, যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের সৌদি আরবের বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নকাজে নিয়োজিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান।

এছাড়া সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সৌদি আরবের বিভিন্ন সামরিক খাতে নিয়োজিত করার প্রস্তাব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা কাজের পাশপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।

সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ জানান, সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনে (আইএমসিটিসি) বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

সেনাপ্রধান সৌদি আরবের সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা তুলে ধরে বলেন, সৌদি আরবের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে মিলিটারি একাডেমি, ডিফেন্স কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা খাতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রতিরক্ষা সমঝোতায় কী থাকছে?

দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হবে, তাতে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন এবং তাদের কাজের ধরণ কী হবে তা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।

দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সৌদি-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে”।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১,৮০০ সৈন্য সৌদি আরবে মোতায়েন করা হবে।

বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের ইয়েমেন সীমান্তে মাইন অপসারণের কাজে নিয়োজিত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী বেশ অনেকদিন ধরেই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।

সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো জানান, সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টারটেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)-এ বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে।

এই কোয়ালিশনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।