রাজনীতির খবর: মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিলেই মিলছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপুর্ণ পদ! এমনকী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদও বিক্রির দর কষাকষি হচ্ছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিনিময়ে। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে এই দাম-দর কষা-কষির অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের দাবি এটি মজা করে চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া ভেঙে নতুন কমিটি দেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির জন্য দৌড়ঝাপ চলছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। শৃঙ্খলার জন্য জেলা কমিটি থেকে উপজেলা পর্যায়ের বর্তমান কমিটির কাছে নতুন কমিটির জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে। আর এ সুবাদে আজমিরিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সস্পাদক কর্মীদের পদ দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দাম-ধর কষা-কষির একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ‘আজমিরীগঞ্জের বাণী’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে খোদ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরাই ক্ষোভ জানিয়েছেন।
ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ও একই উপজেলার বিরাট গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুলের হকের মধ্যকার পদ-পদবি নিয়ে দর কষা-কষি চলে। এক পর্যায়ে আমিনুল হক আমির হোসেনকে জিজ্ঞেস করে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিলে কোন পদ দেয়া হবে। প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সর্বোচ্চ পদ দেয়া হবে। এমনকি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা সাংগঠনিক দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন আমির হোসেন। বিনিময়ে তাকে ৫/৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দেয়ার কথাও জানান তিনি। আমিনুল তার কাছে এত টাকা নাই বলে আমির হোসেনকে জানালে বাজারের মঞ্জিল মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মোবাইল কেনার জন্য পরামর্শ দেন আমির হোসেন।
এই বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। মজা করে কথা-বার্তাগুলো হয়েছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এই রেকর্ডটা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।