প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তেতুলিয়া স্থানীয় দালালচক্রকে চাঁদা না দেওয়ায় গোপনে দোকানে মাদক রেখে স্বর্ণকার ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মাদক মামলায় গ্রেফতার করিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে শ্যামনগরের ভেটখালী গ্রামের মৃত সুরেন্দ্র নার্থ এর পুত্র শ্রীমন্ত স্বর্ণকার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আমার ছোট ছেলে বাপ্পী স্বর্ণকার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর বাজারে বৃষ্টি জুয়েলার্স নামক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। আমার বাড়ি হতে যাদবপুর(যাদার হাট) বেশ দূরে হওয়ায় বাপ্পী ওই জুয়েলারি দোকানেই থাকা খাওয়া করে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় কিছু দালাল চক্র বাপ্পীর কাছে চাঁদা দাবি করে। বাপ্পী তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বাপ্পীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর থেকে বাপ্পীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে। এছাড়া ওই চক্রকে চাঁদা না দিলে বাপ্পীকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে তারা। এর জের ধরে গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই চক্রটি সন্ধ্যার দিকে আমার পুত্র বাপ্পীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে গোপনে কিছু ফেন্সিডিল ও গাজা রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ফেন্সিডিল ও গাজা উদ্ধার করে। এঘটনায় পুলিশ বাপ্পীকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অথচ আমার পুত্র গাজা ফেন্সিডিলের ব্যবসা তো দূরের কথা, সে বিড়ি সিগারেট ও সেবন করে না। বাপ্পী অত্র এলাকায় স্বর্ণকার হিসেবে ইতোমধ্যে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। শুধুমাত্র ওই দালালচক্রকে চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে বাপ্পীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন বাপ্পী অত্র এলাকায় প্রায় দুই বছর জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এপর্যন্ত কেউ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের মন্তব্য করতে পারেনি। যেহেতু বাপ্পি সেখানে থাকে এবং বহিরাগত হওয়ায় ওই চক্রটি চাঁদা না পেয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে তাকে এবং আমাদেরকে পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি আমার নির্দোষ ছেলেকে ওই মিথ্যা মাদক মামলা থেকে অব্যহতি এবং স্থানীয় ওই দালালচক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।