সাতক্ষীরা

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিধায়ককে গুলি করে হত্যা

By Daily Satkhira

February 09, 2019

বিদেশের খবর: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। আজ শনিবার রাতে খুন হয়ে গেলেন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস (৩৮)। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফুলবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দলের এই বিধায়ক। অনুষ্ঠানের শেষে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মঞ্চ থেকে নেমে আসতেই একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে ঘিরে ধরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। পরপর বেশ কয়েকটি গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সত্যজিৎ বিশ্বাস। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী। তাঁর মৃত্যুর খবর নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। খুনিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার অন্যতম জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি সত্যজিৎ বিশ্বাস। ২০১১ সালে বাম সরকারের পতনে তৃণমূলের উত্থানের সময় থেকেই তিনি কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক। এলাকায় যথেষ্ট কাজ করেছেন, জনসংযোগ ভালো তাঁর। প্রতিবাদী হিসেবেও পরিচিত। এদিন একই মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। কিন্তু ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই অনুষ্ঠান শেষ করে বেরিয়ে যান তিনি। তারপরই এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনাকে সরাসরি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে নদীয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের নদীয়া জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্তর সুস্পষ্ট অভিযোগ, দুষ্কৃতী যে বা যারাই হোক, তারা মুকুল রায়ের মদদপুষ্ট। তদন্তে সত্য প্রকাশিত হবেই। খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল বিধায়ক মতুয়া মহাসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এই ঘটনায় নদীয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বলেন, উনিশে ফিনিশ হয়ে যাবে বুঝে বিজেপি এখন তৃণমূলের শক্তপোক্ত নেতাদের সরিয়ে দিচ্ছে। অরাজকতা তৈরি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের পায়ের তলায় মাটি নরম। তাই অন্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য গোটা ঘটনায় দলের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, বিজেপি কোনো রকম হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না। ওখানে মাটি মাফিয়াদের নিজেদের মধ্যে সংঘাতের বলি হয়েছেন বিধায়ক।