সাতক্ষীরা

ইমন হত্যায় গ্রেফতারকৃতরা আবারো রিমান্ডে

By Daily Satkhira

February 10, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ইখতেয়ার হোসেন বিপ্লব, রিয়াজুল ইসলাম রনি মোল্ল্যা ও মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’ দিন করে রিমা- মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আলমগীর কবীরের বিপ্লবকে ১০ দিনের, রনি ও মুরাদকে সাত দিন করে  রিমা- আবেদন শুনানী শেষে বিচারক সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ রনি মোল্ল্যাকে পুলিশ হেফাজতে দু’ দিনের, বিপ্লব ও  মুরাদকে কারাফটকে দু’ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। এদিকে হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটনে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হলেও ঘটনার পরবর্তী ২৩ দিনে পুলিশ এ হত্যাকা- নিয়ে কোন বিশেষ ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। এ ছাড়া মৃত্যুর আগে খোয়া যাওয়া একটি মোবাইল ও তাতে থাকা দু’টি সিম উদ্ধার করতে না পারা ও ইমনের স্বজনরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাতে পুলিশের তদন্ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা মেরিনা আক্তারসহ পুলিশের একটি টিম নিহত ইমন ও আসামিদের বাড়িতে যেয়ে খোঁজ খবর নেন। এদিকে একজন জ্যেষ্ট অপরাধ বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহত ইমনের খোয়া যাওয়া মোবাইলের সিমগুলো উদ্ধার করে কললিস্ট (সিডিআর) যাচাই না করতে পারলে প্রকৃত হত্যাকারীদের সনাক্ত করা কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে একই ব্যক্তিকে বারবার রিমা-ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে ইমন হত্যার সঙ্গে কয়েকদিন আগে স.ম আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। জানতে চাইলে ইমন হত্যা মামলার তদন্তটিমের সদস্য (ওসি তদন্ত) আলমগীর কবীর জানান, ইখতিয়ার হোসেন বিপ্লব ও মুরাদকে কারাফটকে ও রনি মোল্লাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’ দিন করে রিমা- মঞ্জুর করে আদালত। সে অনুযায়ি রনিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ হত্যা সম্পর্কে তারা এ পর্যন্ত কোন নতুন ক্লু উদ্ধার করতে পারেননি। প্রসঙ্গত, ১৭ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময়ে ইমনকে হত্যা করে লাশ ধুলিহর ইউনিয়নের কামারডাঙা স্লুইজ গেটের সন্নিকটে আমতলা বিলের ইকবাল বিশ্বসের মাছের ঘেরে ফেলে রাখা হয়। নিহতের ভাই রিমন বিপ্লবকে মেডিকেল কলেজে কর্মরত অবস্থায় ডেকে এনে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পরদিন সকালে। সেখানে আলমগীর হাসান আলমের ইশারায় পুলিশ বিপ্লবকে আটক করে। একই দিনে মুরাদকে বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে ও রনি মোল্লাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আদালতে পাঠানোর সময় বিপ্লবকে মুন্সিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে উল্লেখ করে পুলিশ। ২২ জানুয়ারি বিপ্লব ও মুরাদের দু’ দিনের রিমা- মঞ্জুর হয়। রনিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। ৩০ জানুয়ারি বিপ্লবকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দু’দিন রিমা- মঞ্জুর করা হয়।