রাজনীতির খবর: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে পিরোজপুর ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার পিরোজপুরের নিম্নআদালতে হাজির হলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারক মোহাম্মাদ শামসুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আটক অপর দুই আসামি আগে থেকেই হাজতে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে জেলা শহরের বাইপাস সড়কের সাঈদী ফাউন্ডেশনের সামনে নাশকতার একটি ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে মামলা দেয়।
পরে মাসুদ সাঈদী চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উচ্চআদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে মঙ্গলবার পিরোজপুরের নিম্নআদালতে হাজির হন। পরে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের অহিদুজ্জমান খানের বাড়িতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে জামায়াত-শিবির গোপন বৈঠক করে।
খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালে ঘটনাস্থল থেকে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আসামি ওবায়দুল্লাহ ও হাফেজ জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করছিল বলে জানায়। পরে অহিদুজ্জামানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি ককটেল ও পাঁচটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মাসুদ সাঈদীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অহিদুজ্জামান ফকির বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার পর হাইকোর্টের দেয়া ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে নিম্নআদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন বাতিল করে মাসুদ সাঈদীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, মাসুদ সাঈদী যুদ্ধাপরাধী ও আজীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে।