আন্তর্জাতিক

হামলা চালাতে পারে ভারত : জাতিসংঘকে পাকিস্তান

By Daily Satkhira

February 19, 2019

বিদেশের খবর: পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কায় জাতিসংঘের দ্বারস্থ হলো পাকিস্তান। ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ফেরাতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র শাহ মেহমুদ কুরেশি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেসকে মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিটি জাতিসংঘের সাধারণ ও নিরাপত্তা পরিষদের সব দেশকে দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে পাকিস্তনের পক্ষ থেকে। চিঠিতে পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তান সংশ্লিষ্ট থাকার যে কথা বলছে ভারত, তা নিয়ে আলোচনা করতে ও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের যে হুমকি দিয়েছে ভারত, তার প্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে শান্তি পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলে, আমরা জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন বোধ করছি। আর তাই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে পাকিস্তান।’

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার অন্তত ৪৪ সিআরপিএফ সেনার নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মোহাম্মদ। হামলার ঘটনায় সর্বদলীয় বৈঠকের পর সেনাবাহিনীকে তার পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘যতই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হোক, পুলওয়ামায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে কাশ্মীরের এক বাসিন্দা। ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না করে পাকিস্তানকে আক্রমণ করাটা আদৌ উচিত নয়।’

জঙ্গিদের পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে ভারত যে অভিযোগ করছে, জাতিসংঘের মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে তা অবাস্তব বলে উল্লেখ করেছেন কুরেশি। মোদি সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে যে ঘরোয়া রাজনীতিতে ব্যবহার করছেন, আগামী দিনেও সেটা করে যেতে চাচ্ছেন, চিঠিতে তার উল্লেখ করেছেন কুরেশি।

মেহমুদ কুরেশি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘ভারত সচেতনভাবে পাাকস্তান বিদ্বেষকে উসকে দিয়ে তার রাজনীতিতে তার ফল তুলতে চাইছে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে শত্রুতা করছে তারা। তারা এ অঞ্চলে অশান্তির পরিবেশ, উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’

দিল্লি ইতোমধ্যেই সিন্ধু নদীর জলবণ্টন চুক্তিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছে, জাতিসংঘের মহাপরিচালককে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।’ ভারত চাইলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধ মিটিয়ে নিতে পারে বলেও জানান তিনি।