আজকের সেরা

পৃথিবীর বৃহত্তম পরিবারে ৩৯ স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন স্বামী

By Daily Satkhira

February 20, 2019

ভিন্ন স্বাদের খবর: বর্তমান যুগে এক পরিবারে চার-পাঁচ জনের বেশি সদস্য তেমন দেখাই যায়না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা নিজের বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকে। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক ব্যক্তির কথা বলবো, যিনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক। তার কথা শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন আপনিও।

ভারতের মিজোরাম প্রদেশের বাকতওয়াং গ্রামের পাহাড়ের মাঝামাঝি ১০০ কক্ষ বিশিষ্ট ৪ তলা বিশাল একটি বাড়িতে ১৮১ জন সদস্যের বসবাস। আর এদেরকে নিয়ে একটি মাত্র পরিবার। বিশ্বের বৃহত্তম এই পরিবারের প্রধান হলেন ৭৩ বছর বয়োসি জিয়োনা চ্যান।

লোকজন যেখানে পরিবারের দু-তিন জনের খরচ বহন করতে হিমসিম খেয়ে যান সেখানে এই ব্যক্তি তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন বউমা এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি নিয়ে একসাথে বাস করছেন।

এ বিষয়ে মিঃ চানা বলেন, ‘আমি নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তান বলে মনে করি। কারণ তিনি আমাকে এতজনের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন।’

‘আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান স্বামী মনে করি, আমার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের আমি প্রধান কর্তা।’

রিঙ্কমিনি, যিনি চানার ৩৫ বছর বয়সী একজন স্ত্রী, তিনি জানান, ‘আমরা সবসময়ই তার ঘরের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতাম, কারণ তিনিই বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উনিই হলেন আমাদের গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ।’

কাকতালীয়ভাবে চানা, সেখানকার এক সম্প্রদায়েরও প্রধান, যারা লোকজনকে যত খুশি বিয়ে করার অনুমতি দেয়।

এমনকি তিনি বছরে ১০ জন মহিলাকেও বিয়ে করেছেন, যখন তিনি সন্তান উৎপাদনের জন্য আদর্শ ছিলেন। তিনি তার বড় ডাবল বেডে একা শুতেই পছন্দ করতেন এবং তার সমস্ত স্ত্রীরা একটি বড় হলে সবাই একসাথে শুতো।

তিনি সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীদের তার শয্যা গৃহের কাছাকাছি রাখতেন এবং বয়স্ক স্ত্রীরা অন্যত্র দূরে শুতো। আর চানা বেড রুমে রাত কাটানোর জন্য রোটেশন পদ্ধতি হত অর্থাৎ প্রতিদিনই অন্য অন্য স্ত্রী তার ঘরে রাত কাটাতেন।

১৭ বছর বয়সে নিজের প্রথম বিয়েটা সারেন যাথিয়াঙ্গির সাথে কিন্তু এখনো তার বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে। গোটা পরিবারেই একটি সেনাবাহিনীর মত নিয়ম বলবৎ রয়েছে। জিওনার প্রথম স্ত্রী যাথিয়াঙ্গী সকলকে তাদের কাজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন নিত্যদিন।

এই পরিবারের প্রতিদিন খাবার জন্য ৬০ কেজি আলু এবং প্রায় ১০০ কেজি চাল প্রয়োজন হয়। আর কোনোদিন মাংস হলে, প্রায় ৩০ কেজির মতো মুরগীর মাংস প্রয়োজন হয়।