নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সিটি কলেজ অধ্যক্ষ এবার সুপারিশ করেছেন বিধিবর্হির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের এমপিওভূক্তির জন্য। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মেনে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তিনি এধরনের কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় ওই শিক্ষকের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিধান চন্দ্র দাশ। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় বিভাগে একটি পদ শূন্য হয়। ২য় শিক্ষক হিসাবে সেখানে রয়েছে বিধান চন্দ্র দাশ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসারে প্যার্টানভুক্ত পদ শূন্য হলে উক্ত পদে এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে পূর্বে নিয়োগকৃত শিক্ষকরা পদায়ন পেয়ে এমপিও ভূক্তি হবেন। কিন্তু সিটি কলেজের দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবু সাঈদ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে সৃষ্ট পদে ৩ জন শিক্ষক থাকা স্বত্বেও ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে একই সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। যার নং ৯০৮১/২০১৫।
হাইকোর্ট উক্ত আবেদনটি আমলে নিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তির উপর ৬ মাসের জন্য স্টে প্রদান করেন। এরপর অধ্যক্ষ আবু সাঈদ উক্ত রিট পিটিশনের বিপরীতে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর ২০০২ নং মামলা করেন। উক্ত মামলায় রিট পিটিশন আদেশটির শুনানি ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থাগিত রাখেন। ৩১ জানুয়ারি’১৬ তারিখে সুপ্রীম কোর্ট অ্যাপিলেট বিভাগে শুনানি অন্তে ৩০০২ মামলাটি খারিজ করে দেন এবং ৯০৮১ নং মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ৯০৮১ নং মামলাটি শুনানির জন্য চলমান আছে মর্মে ৫সেপ্টেম্বর ও ২৯ সেপ্টেম্বর’১৬ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ এই সেটি অমান্য করে অবৈধভাবে ৪ ডিসেম্বর’১৬ তারিখে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে রুনা লাইলাকে নিয়োগদান করান। এছাড়া বর্তমানে তথ্য গোপন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তাকে এমপিও ভূক্তির চেষ্টা চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ আবু সাঈদ। এতে করে দীর্ঘ ৭ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিধান চন্দ্র দাস। এঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষক বিধান চন্দ্র। অন্যদিকে সিটি কলেজটির অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দায়িত্ব নিয়ে কলেজের একাডেমিক পরিবেশের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে একের পর এক নিয়োগ বাণিজ্যে মেতেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। অর্থের বিনিময়ে নাশকতা মামলার আসামি জামাত নেতাদেরও এমপিওভুক্তির সুপারিশ করেছেন তিনি। তবুও অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। অবিলম্বে অধ্যক্ষ কর্তৃক অবৈধভাবে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিধান চন্দ্র দাশ।