শ্যামনগর

সাতক্ষীরায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবন সুরক্ষার শপথ

By Daily Satkhira

February 14, 2017

শ্যামনগর প্রতিনিধি: ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’ Ñএই স্লোগানে পালিত হলো সুন্দরবন দিবস। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সুন্দরবনের পাদদেশে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ও বারসিক যৌথভাবে এ আয়োজন করে। পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ও বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় যুব উদ্যোগ ও জনসচেতনতার উপর গুরত্বারোপ করেন বক্তারা। প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক-যুবতী সুন্দরবন সুরক্ষার শফথ বাক্য পাঠ করেন। শপথে তারা বলেন-আমরা অত্র এলাকার যুব ; তারুণ্যের শক্তিতে আমরা বলীয়ান। তারুণ্যের অধিকার নিয়ে আজ শপথ করছি যে, সকল প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ, জ্বালানি সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখব। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর সবুজ-পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে পৃথিবীর একক বৃহত্তম সুন্দরবন সুরক্ষায় সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে এক সাথে এগিয়ে যাব। হে সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন, আমরা  যেন  সকল প্রাণের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে সুন্দরবনকে সুরক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারি। অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার ওপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল। এ বনকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।সুন্দরবন বাঁচাতে বনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন“ বারসিক শ্যামনগর রিসোর্স সেন্টারের এলাকা সমন্ময়কারী পার্থ সারথী পাল, প্রোগ্রাম অফিসার মননজয় মন্ডল, রাম কৃষ্ণ জোয়ারদার, বিশ্বজিৎ মন্ডল, মফিজুর রহমান, বাবলু জোয়ারদার, হিসাব রক্ষক বিধান মধু সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ঈশ্বরীপুর ইউনিট সভাপতি জগবন্ধু কয়াল, মুিন্সগঞ্জ ইউনিট সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনি ইউনিট সভাপতি হাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারসিক শ্যামনগর রিসোর্স সেন্টারের সহযোগী প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আল ইমরান। উল্লেখ্য যে, তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- জাতীয় বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের গুরুত্ব ও ভূমিকা সর্ম্পকে সর্বমহলে ব্যাপক সচেতনতা এবং আগ্রহের সৃষ্টি করা, যাতে এটির সংরক্ষণের কাজ শক্তিশালী হয়। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বনবিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করা এবং সুন্দরবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোবাসা ও মমত্ববোধ তৈরি করা এবং তাদের চেতনায় সুন্দরবন ভাবনাকে উজ্জীবিত করা। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। এবার পালিত হলো ১৫ তম সুন্দরবন দিবস।