বিনোদন সংবাদ: ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত মাতিয়ে রেখেছিলেন দিলারা জামান। ছিয়াত্তর পেরিয়ে সাতাত্তর ছুঁইছুঁই তার বয়স। অথচ এই বয়সেও তিনি কত গ্ল্যামারাস! বয়সকে লুকিয়ে রাখা যায় না, সে তার আসল অবস্থান জানান দেবেই। চোখ ধাঁধানো ওয়েস্টার্ন লুকে এই অভিনেত্রীকে দেখে কেউ কি বলবে তার বয়স হয়েছে যে!
ষাটোর্ধ বয়সেও তিনি প্রচ্ছদকন্যা! জমকালো পোশাক, ছিমছাম মেকআপ, গাঢ় লিপস্টিকে পুরোপুরি ওয়েস্টার্ন লুকে দিলারা জামানকে ‘অসাধারণ লাগছে’ প্রচ্ছদে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টসগুলো তো এ কথায় বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘আইস টুডে’র মার্চ সংখ্যার প্রচ্ছদে ওয়েস্টার্ন লুকে প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী দিলারা জামানের ছবি, যা প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
দিলারা জানিয়েছেন, গত মাসের ২০ তারিখ হয়েছে ফটোশুট। আইস টুডে তাকে তাদের অফিসে ডেকে কমপ্লিমেন্ট দিয়েছে, ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেছে। খুব প্রশংসা করেছে তারা। তিনিও কাজটি খুব এনজয় করেছেন।
ফটোশুটের ধারণা এবং নির্দেশনা গৌতম সাহা’র। এছাড়া ফটোগ্রাফে ছিলেন রিয়াদ আশরাফ, ফ্যাশন কো-অর্ডিনেটর আসিফ সোলায়মান।
এর আগে ২০১৭ সালে ‘আইস টুডে’র আগস্টের ‘ওয়ার্ক অব আর্ট’ সংখ্যাটিও বেশ আলোড়ন ফেলে। সেই ফটোশুটে দিলারা জামান ছাড়াও ছিলেন সারা যাকের, শম্পা রেজা, শামীম খান ও শারমিন লাকী।
দিলারা জামানের অভিনয়ের শুরু ১৯৬৬ সালে ত্রিধরা নাটক দিয়ে। নাটকের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘ব্যাচেলর’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’ ও ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৯৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।
২০০৮ সালের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে ময়রা মাসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।