শ্যামনগর

শ্যামনগরে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে মাতৃভোগী কার্ড দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ!

By daily satkhira

March 08, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউপির ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সীতা রানী বৈদ্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগটি করেন ভুক্তভোগী বামনী গাইন। সে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের দেওল গ্রামের বিমল গাইনের স্ত্রী।

অভিযোগে জানা যায়, মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী বামনী গাইন সংশ্লিষ্ট মহিলা ইউপি সদস্যকে জানান। জানানোর ২-৩ দিন পরে মহিলা মেম্বরের প্রতিনিধি পরিচয়ে এলাকার দালাল হিসেবে চিহ্নিত দেওল গ্রামের সুভাষ বৈরাগীর ছেলে রতন বৈরাগী ভুক্তভোগী বামনী গাইনের বাড়িতে গিয়ে মহিলা মেম্বরের কথা বলে কার্ড দেওয়ার নাম করে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে। একপর্যায়ে বামনী গাইন অনেক কাকুতি মিনতি করে নগদে তিন হাজার টাকা দিতে সক্ষম হয়। এরকিছু দিন পরে ঐ রতন দালাল মাতৃ ভাতার কার্ডের মেয়াদ বাড়ানোর নামে আবার বামনী গাইনের নিকট থেকে দুই হাজার টাকা দাবীর প্রেক্ষিতে এক হাজার টাকা নেয়।

এদিকে দেওল গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে তারক মন্ডলের নিকট থেকে ৪০দিনের কাজে সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে ২০০০ টাকা নিয়েছে সীতা রানী বৈদ্য। এমন অভিযোগ একই গ্রামের অনন্ত মন্ডলের স্ত্রী অনিমা রানী ও সুভাষ সরদারের স্ত্রী পাচি রানী সরদারেরও।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সীতা রানী বৈদ্য বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি। কেউ আমার নাম করে নিলে আমি কি করব? পি সদস্য সীতা রানীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরকারি বিভিন্ন উপকারভোগী কার্ড বিতরণেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ইউপি সদস্য সীতা রানী এলাকায় কিছু প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে তার এহেন কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। শুধু রতন বৈরাগী নয়, সাধন মণ্ডল ও আবু সাঈদ নামের অপর দুই জন ব্যক্তিও এই ইউপি সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে ঐ এলাকায় দালালি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এছাড়াও ইউপি সদস্য সীতারানীর বিরুদ্ধে বিধবাভাতা দেওয়ার নামে সরজিতের মা বিধবা মহিলার নিকট থেকে ২০০০ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ঐ ওয়ার্ডের খুটিকাটা গ্রামের জিতেন্দ্র মন্ডলের ছেলে রতিকান্তের নিকট থেকে ইউপি সদস্য সীতা রানীর প্রতিনিধি সাধন মন্ডল ২০০০ নিয়েছে। এছাড়া একই গ্রামের দিলীপ সরদারের ছেলে নিতিশ সরদারের নিকট হতে সরকারি বরাদ্দের সোলার দেওয়ার নামে ২০০০ টাকা নিয়েছে ওই প্রতিনিধি সাধন মন্ডল।

ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুধাংশু মন্ডলের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ৪০ দিনের কাজে সুযোগ করে দেওয়ার নামে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের নিপদ মন্ডলের ছেলে নিহারের নিকট থেকে ৩০০০ টাকা ও সবিত্রার মেয়ে শিবানীর নিকট থেকে ৩০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।