পাটকেলঘাটা

পাটকেলঘাটার পিবিএস সড়কটি দীর্ঘ ২০ বছরেও সংস্কার হয়নি

By daily satkhira

March 09, 2019

তালা প্রতিনিধি : অল্প বৃষ্টিতেই নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ সড়কের বাসিন্দা ও চলাচলরত জনসাধারণ। সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের অভ্যন্তরীন কোন্দলে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন বেহাল দশায় পড়ে থাকায় ইচ্ছা খুশিমত দখল করছে দুই পাশের জমির মালিকরা। ফলে সড়কটিকে দেখতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের খাল বলেও মনে হয়। সরেজমিন চলতি অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির পরে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায় চলাচলরত জনসাধারণ ও বাসিন্দারা স্যাতস্যেতে কাঁদা আর পানিতে নাস্তানাবুদ হচ্ছে। সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার। খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের সাতক্ষীরা পিবিএস এর সামনে থেকে পাটকেলঘাটার ঐতিহাসিক পাঁচরাস্তা মোড়ে মিলিত হয়েছে। বাজারের অন্যান্য সড়কের তুলনায় এসড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকলেও সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার তো দূরের কথা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলে চরমভাবে অবহেলিত হয়ে রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সড়কটির পাশেই তালা উপজেলা অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের বাসভবন থাকায় অনেকটাই মরার উপর খড়ার ঘা হয়েছে জনসাধারণের। অনুসন্ধানে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন তালা কলারোয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে রাজনৈতিক মতনৈক্য থাকায় দীর্ঘ ৫ বছরে সংস্কারের বার বার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। এছাড়া পাটকেলঘাটা বাজারে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। এ পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান তিনিও সড়কটি দেখভাল করেন না। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক মতনৈক্য কুপোকাতের শিকার হয়ে চরমভাবে নাস্তানাবুদ হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সড়কের বাসিন্দা ও জনসাধারণ। এ বিষয়ে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন একাধিক এমপি ও অপরাজনৈতিক নেতার কুদৃষ্টির জাল ভেদ করে বার বার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা ভেস্তে যায়। বর্তমান সড়কটি সংস্কারের অনুমোদন হয়েছে, টেন্ডারের অপেক্ষায়। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাসানুর রহমান, হামিদুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান সবাই ঐ সড়কের ব্যবসায়ী। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটি ২০ বছরেও সংস্কার হলো না। সেখানে টেন্ডার হওয়া তো দূরের কথা। বাস্তবে সংস্কার কাজ হলেই খুশি।