ফিচার

কোনো নির্বাচনে কারও আস্থা নেই: ফখরুল

By Daily Satkhira

March 10, 2019

রাজনীতির খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির পর কোনো নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ পোষ্যদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আর তারা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করছে। নির্বাচনে তারা যা করেছে, সেটা নজিরবিহীন। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছে। নির্বাচনের প্রতি আস্থা না থাকায় সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি জনগণ। উপজেলা নির্বাচনেও আগ্রহ নেই তাদের।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবার ডাকসু নির্বাচন। এ নির্বাচনে ছাত্রদল অংশ নিয়েছে। এটাকে স্বাগত জানাই। কোন দল জিতবে, সেটা পরের বিষয়। ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। দশে যে রাজনীতিবিদ গড়ার কারখানা, তা বন্ধ ছিল এতদিন। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজে রাজনীতির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এটা চালু থাকলে দেশের জন্য ভালো হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, একটি ভূয়া, মিথ্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হলো। সেই সাজাকে আবার বাড়িয়ে ১০ বছর করা হলো। তিনি এখন খুবই অসুস্থ। তিনি বসতে পারেন না। তাকে বিছানা থেকে তুলতে একজন সাহায্যকারী দরকার হয়। এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংসকারী দল। তারা নিজেদের সংবিধান নিজেরাই ধ্বংস করেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন গণতন্ত্রকামী ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা মুখে মুক্তির কথা বললেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা সবসময় ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতি তারা যেটা করছে, তা হলা- তারা মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়েছে।

কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার জামাল উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ।