খেলার খবর: নিউজিল্যান্ডের মাঠে পেসাররা বরাবরই পান স্যুয়িং। নতুন বলে সেই স্যুয়িং হয় বিষাক্ত। সফরকারী দলগুলো তাই কখনই ধারাবাহিকভাবে উদ্বোধনী জুটিতে পায় না ভালো শুরু। এবার তামিম ইকবাল আর সাদমান ইসলাম মিলে টানা তিন ইনিংসে পেলেন ফিফটির জুটি। আর এতে হয়ে গেছে এক বিরল কীর্তিও।
হ্যামিল্টনের দুই ইনিংসে ৫৭ আর ৮৮ রানের জুটি গড়ার পর ওয়েলিংটনের প্রথম ইনিংসে প্রায় ২১ ওভার ব্যাট করে ৭৫ রানের জুটি আসে দুজনের মধ্যে। ১৯৩০ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে হওয়া টেস্ট সিরিজের মধ্যে কোন সফরকারী দলের ওপেনিং জুটি এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার করতে পারল টানা তিন ফিফটি।
সর্বশেষ ও এর আগের একমাত্র হওয়া জুটিটিও ২০ বছর আগে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবস ৭৬, ১২৭ ও ৭৩ রানের জুটি গড়তে পেরেছিলেন।
এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে কঠিন কন্ডিশন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করা খুব সহজ নয়। তবে এসব জায়গায় তামিমের রেকর্ড বেশ ভালো।
টেস্টে এই চার দেশের সম্মিলিত রেকর্ডে অনেক বড় বড় এশিয়ান ব্যাটসম্যানদেরও রেকর্ড খুব একটা ভালো নয় যদিও তারা বাংলাদেশের তুলনায় ঘন ঘন সুযোগ পায় এই সকল দেশে টেস্ট খেলার। সেইদিক দিয়ে এসব কন্ডিশনে খুব কম সুযোগ পাওয়া তামিম খারাপ করেননি।
এই শতাব্দীতে উক্ত চার দেশে টেস্টে কমপক্ষে ১০০০ রান করা এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গড়ের দিক দিয়ে আছেন ৫ম স্থানে। মাত্র ৫ জন খেলোয়াড়ের টেস্ট গড় ৪৫ এর উপরে এই কঠিন কন্ডিশন গুলোতে। তামিম তাদের একজন।
বাকিরা হলেন ভারতীয় লিজেন্ড শচীন, দ্রাবিড়, কোহলি ও শ্রীলঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারা। তামিমের রান ১২ টেস্টে ২২ ইনিংসে মোট ১০০৩, গড় ৪৫.৫৯। শচীনের গড় সবচেয়ে বেশি। শচীনের সংগ্রহ ৫২ গড়ে ৩২২৭, ২য় স্থানে থাকা কোহলির সংগ্রহ ৪৯ গড়ে ২৭৭৩। দ্রাবিড় ৪৮ গড়ে ৩০৩১ রান নিয়ে আছেন ৩য় স্থানে, তারপর আছেন সাঙ্গাকারা। ৪৫ গড়ে তার রান ২৪৩৫। গড়ের দিক দিয়ে তামিমের পিছে রয়েছেন ভারতীয় লিজেন্ড ভিভিএস লক্ষ্মণ, সৌরভ গাঙ্গুলীর মত তারকা ব্যাটসম্যানেরা।