জাতীয়

হাসপাতালেই চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

By Daily Satkhira

March 12, 2019

দেশের খবর: দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা অফিস সময়ের পরে বেসরকারি হাসপাতালে বা আলাদা চেম্বারে অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা দেন। এখন থেকে সরকারি হাসপাতালেই সে ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে চিকিৎসকদের বাইরে যেতে না হয় এবং রোগীরাও সরকারি হাসপাতালেই সেবা পান।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করার সময় এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, বৈঠকে ডে-কেয়ার সেন্টার, কিডনি, হার্ট, ক্যান্সার ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য আলাদা ব্লক এবং রোগীরা আলো-বাতাস পায় এমনভাবে হাসপাতাল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সরকারি হাসপাতালেই যাতে চিকিৎসকরা একটা উইং (শাখা) নিয়ে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে। যেমন আছে বারডেমে। সেখানে একটা উইং আছে, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বসেন।

ডে-কেয়ার সেন্টারের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু নার্স বা সিস্টার আছেন যাদের শিশুসন্তান আছে, এছাড়া কিছু কিছু রোগীও বাচ্চা কোলে নিয়ে আসেন, এদের জন্য একটা ডে-কেয়ার সেন্টারের জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কিডনি, হার্ট, ক্যান্সার ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য ধাপে ধাপে আলাদা ব্লক তৈরি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা কিন্তু রাতারাতি হবে না। তবে করতে হবে এখন থেকেই। এগুলো করার জন্য প্রধানমন্ত্রী উইশ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হাসপাতালের ডিজাইন দেখলে মনে হয় বাসা বা ফ্ল্যাট। মানে একটা হোটেল হোটেল ভাব। হাসপাতালকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন করেন। যাতে রোগীরা একটু আলো-বাতাস পেতে পারে। ডোন্ট মেক ইট ব্লক অব বিল্ডিং। প্লেনে যারা ঢাকায় এসেছেন, তারা বলেছেন, বন্দর বন্দর মনে হয় ঢাকাকে। ওপর থেকে যেন মনে হয় হাজার হাজার কন্টেইনার।’

এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা পরিবর্তন করুন। ডিজাইনটা একটু সুন্দর করুন। খোলামেলা করুন। রোগীরা যাতে আলো-বাতাস পেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে ব্যাংক ও চেন্নাইয়ে ভালো ভালো হাসপাতাল আছে, সেগুলো দেখে আসুন, তারা কীভাবে বিল্ডিংগুলো করছে, দেখুন।’