আসাদুজ্জামান: দীর্ঘ ১৯ বছর পর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় স্থানীয় প্রত্যাশা ক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিনের অর্থায়নে ও ক্লাবের ১’শ ১ জন সদস্যের স্বেচ্ছাশ্রমে ইট, খোয়া ও বালি দিয়ে এ সড়ক সং¯কার কাজ শুরু হয়। অথচ সংস্কারের জন্য কোন মাথা ব্যথা নেই সরকারি কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধিদের। জন প্রতিনিধি থাকতে আপনারা কেন স্বেচ্ছায় রাস্তাটি সংস্কার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রত্যাশা ক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিন জানান, আমাদের এ রাস্তাটি অনেক অবহেলিত। ২০০০ সালের বন্যার পর থেকে কোন জনপ্রতিনিধি এ রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেননি। তাই আমরা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমির্টা রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। যা চলাচালের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী। এমতাবস্থায় ক্লাব সদস্যের নিজস্ব উদ্যোগে এ রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। মাছ খোলা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাস্তার যে অবস্থা তাতে রিক্সা ও ভ্যান যাতায়াত করা যায়না। আমাদের অনেক কষ্ট হয় রাস্তা খারাপের জন্য। একই এলাকার বাসিন্দা শামিম হোসেন বাবু জানান, ভোটের সময় কত প্রার্থী এসে রাস্তা সংস্কার করার কথা বলে ওয়াদা করেন কিন্তু ভোট আসে যায়, রাস্তা সংস্কার কোন উদ্যোগ নেয়া হয় না । মাছখোলা গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন হাজার, হাজার লোক এই রাস্তা দিয়ে সাতক্ষীরা শহরে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি খারাপ থাকায় শহর থেকে কোন ভ্যান ও ইজিবাইক এই এলাকায় আসতে চান না। এমনকি এই এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হলে ত্ৎাক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা হয়না। ক্লাব সদস্য আলম, জামাল উদ্দিন, ওসমান গনি, আব্দুল হাকিম, রবিউল ইাসলাম ও খোকনসহ আরো অনেকেই জানান, দীর্ঘ ১৯ বছর পার হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কেউ কোন উদ্যোগ নেননি। তাই আমরা সদস্যরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এ রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসি দ্রুত এ সড়কটি কার্পেটিংসহ পাকা করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।