শিক্ষা

ঝাউডাঙ্গা হাইস্কুলের কোচিং-এ আসছে কিন্তু ক্লাস করছেনা শিক্ষার্থীরা!

By Daily Satkhira

February 17, 2017

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর দরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝাউডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কোচিং বাণিজ্যের রমরমা বাণিজ্য চলছে। কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ক্লাস করছেনা। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উল্লেখ্য যে, কয়েকজন শিক্ষক ব্যবহারিক নাম্বার দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাদের কোচিংএ পড়তে বাধ্য করছে। শিক্ষক দীপক কুমার হোড়, জাহাঙ্গীর আলম, মঈনুল ইসলাম, ছরোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন

শিক্ষক এতে জড়িত। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ক্লাসের সময় বাদে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ভিতরের বিষয় প্রতি ২০০ টাকা হারে নিয়ে চালানো হচ্ছে এ কোচিং বাণিজ্য। সূত্রে জানা যায়, দীপক স্যার প্রতি ব্যাচে ৬৫-৭০ জন পর্যন্ত পড়িয়ে এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৬০০ টাকা করে নিচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষক ১ টা করে দরখাস্ত শিক্ষার্থীদের দিয়ে অভিভাবকদের সই করিয়ে রাখা হয়েছে তাতে প্রধান শিক্ষকের কোন স্বাক্ষর নেই। এমনকি ব্যাংকে হিসাব থাকা ও রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে ১০% টাকা স্কুলের উন্নয়ন খাতে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও সে সব কোন নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক  বলেন, অভিযোগটি আমি এখনও দেখেনি। শিক্ষানীতিমালা অমান্য করে কোচিং করলে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ঐসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগটি শুনেছি যখন। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ধরনের কোচিং বাণিজ্য চলতে থাকলে শিক্ষার মান ভেঙে পড়বে বলে মনে করছে অভিভাবক ও সচেতন মহল।