বিদেশের খবর: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সিনেটর ফ্রেসার অ্যানিং এর জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাড়তে থাকা মুসলিম অভিবাসীদের দায়ী করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের এই সিনেটর মনে করেন, ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসা মুসলিমরা এক ধরণের ‘ভয়’ তৈরি করছে স্থানীয় অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ড বাসীর মধ্যে। যার বহিঃপ্রকাশই নাকি আজকের এই ঘটনা!
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ফ্রেসার অ্যানিং বলেন, “আজকে নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। আমি আমাদের কমিউনিটির মধ্যে এ ধরণের সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং বন্দুকধারীর এই একশন এর তীব্র নিন্দা জানায়। কিন্তু এখন খুব দ্রুতই সমাজের সুশীলরা দাবি করবে এই হামলার জন্য দায়ী আমাদের ‘অস্ত্র আইন’ অথবা তারা দায়ী করবে উগ্রপন্থাকে। কিন্তু এ সবই বানোয়াট কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
এই সিনেটর আরও বলতে থাকেন, “একটা কথা পরিস্কার করে বলে রাখি যদিও আজকে মুসলিমদের উপর হামলা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে প্রায় সব জঙ্গি হামলা এই মুসলিমরাই করে থাকে। মুসলিমরা তো সারাবিশ্বে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে বেড়াচ্ছে।”
অস্ট্রেলিয়ান এই সিনেটর তার পুরো বিবৃতিতেই হামলাকারীর বিরুদ্ধে কথা না বলে উল্টো মুসলিমদের নিয়ে বিষোদগার করতে থাকেন।
এই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কারণে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিনেটর অ্যানিং। তবে বক্তব্যের জন্য এখনও দুঃখ প্রকাশ করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার বিকালে পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ এই তথ্য জানান। ভয়াবহ ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।