বহির্বিশ্ব: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই কুখ্যাত রাজাকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে “মীর কাসিম আলীর ফাঁসি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবে না।’ শিরোনামে একটি বার্তা পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির প্রধান এই অর্থদাতার শাস্তির বিপক্ষে এর আগেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলো সংস্থাটি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত অপরাধের বিচার এদেশের মানুষের প্রাপ্য বলে স্বীকার করলেও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়ার পরিচালক চাম্পা প্যাটেল বিবৃতিতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেন। মৃত্যুদণ্ডকে ‘মানবাধিকার বিরোধী’ উল্লেখ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এই ‘নিষ্ঠুর’ শাস্তি থেকে সরে আসছে বলেও তিনি লিখেন। কুখ্যাত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকরের আগেই যেনো তৎপর হয়ে উঠে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাটি। এর পেছনের কারণও অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। নিজেসহ যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিদেশী বিভিন্ন লবিস্টের পেছনে মীর কাশেম আলী কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগারে। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে কলঙ্কমোচনের পথে এগিয়ে গেল দেশ।