খেলার খবর: প্রত্যাবর্তনে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান ‘এ প্লাস’ মার্কই পেয়েছেন। ছন্নছাড়া রিয়ালকে ঘরের মাঠে এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। যে রিয়াল ঘরের মাঠে টানা চার হারের রেকর্ড গড়েছিল। সেই রিয়াল ‘নতুন জিদানের’ ছোঁয়ায় বদলের আভাস দিয়েছে। বার্নাব্যুতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে তার দল জয় পেয়েছে ২-০ গোলে। তবে জয়ের চেয়েও জিদান সম্ভবত রিয়ালের মুহূমূহ আক্রমণে মন জয় করেছেন ভক্তদের।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাবেক কোচ সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে বাতিলের খাতায় পড়ে যান ইসকো এবং মার্সেলো। এছাড়া বেলও খুব একটা সুযোগ পাচ্ছিলেন না। জিদান আসায় বেলেও রিয়ালে থাকা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু জিদান এই বেঞ্চের তারকা দিয়েই তার দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার ম্যাচ রাঙিয়ে রাখলেন। রিয়ালের প্রথম একাদশে এই তিনজনকেই জায়গা দেন তিনি। তারাও দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন জিদানকে।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোল করেন ইসকো। সোলারির অধীনে রিয়াল একাদশে জায়গা হারান তিনি। জিদান ফিরেই ইসকোকে সুযোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদের শুরুর একাদশে। হতাশ করেননি এই তারকা। আর তার গোলে সহায়তা দেন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি গ্যারেথ বেলের। যাকে কিনা জিদান রিয়ালে আসায় ক্লাব ছেড়ে দিতে হবে বলে গুঞ্জন। সেই গুঞ্জন মৌসুম শেষে সত্যি হতেও পারে। তবে এখন রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম সেরা ফুটবলার বেল। জিদান তাই ওয়েলস তারকার প্রতি অবিচার করেননি। শুরুর একাদশে রাখেন তাকেও। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে গোল করেন বেল। আর তাকে গোলে সহায়তা দেন বাতিলের খাতায় পড়ে যাওয়া রিয়ালের আরেক তারকা মার্সেলো।
রিয়ালের দায়িত্ব নিয়ে জিদান কিভাবে একাদশ সাজান সেটাও ছিল দেখার বিষয়। সেটাও জিদান ভালোমতোই দেখিয়েছেন। ফ্রান্সম্যান এ ম্যাচে তার প্রিয় গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে শুরুর একাদশে রাখেন। যে কিনা মৌসুমের শুরু থেকেই বাতিলের খাতায়। দলে রাখেন অ্যাসেনসিওকে। দারুণ আক্রমণাত্মত দল সাজান। তবে দলে জায়গা হয়নি কাসেমিরোর। পরে বেনজেমাকে উঠিয়ে ব্রাহিম দিয়াজকে দেখে নেন জিদান। ইসকোকে তুলে ক্যাবালোস, মডরিচকে তুলে দেখে নেন ভালভার্দেকে।