আশাশুনি ব্যুরো: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে আশাশুনি টু ঘোলা সড়কের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কাজ। আগামী ২ মাসের মধ্যে সড়কের কাজ হবে বলে আশাবাদী ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি টু ঘোলা সড়কটি দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় ছিলো। যে কারণে অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতের চরম ভোগান্তির শিকার হতো। ওই সড়কটির মাঝে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায় সড়কের উপর দুর্ঘটনা লেগেই থাকতো। এছাড়া গত কয়েক মাস পূর্বে নদীর পানি বৃদ্ধি উক্ত সড়কটির খ- খ- করে দেয়। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। সে সময় এ অঞ্চল সাতক্ষীরা জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কার কাজ শুরু হয়ে তা চলছে দ্রুত গতিতে। আগামী ২ মাসের মধ্যে উক্ত রাস্তাটির সংস্কার শেষ হবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। এ ধরনে মহান উদ্যোগ গ্রহণ করায় ডা: রুহুল হক এমপিকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। এ বিষয়ে ঠিকাদার এস এম রাসেদুজ্জামান বলেন,”মাটির কাজ ১ কি মি হয়ে গেছে। বালি ভতির কাজ চলমান। আগামী ২০ দিনের মধ্যে বালি ভরাটের কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে ৭৭০ মিটার ইটের ছোলিং এর কাজ শুরু হবে। আশা করা যায় আগামী ২ মাসের মধ্যে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে। সাতক্ষীরা জেলা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল করিম ভোরের পাতাকে বলেন, আশাশুনি টু ঘোলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংস্কার চলছে। সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।অন্যদিকে ২.৫০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গেছে। এই মাসের শেষের দিকে নাকতাড়া প্রাইমারি স্কুল থেকে ২.৫০ কিলোমিটার পিচের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়। প্রকৌশলী মো: মনজুরুল করিম বলেন মাটির কাজ ১ কি মি হয়ে গেছে। বালি ভতির কাজ চলমান। আগামী ২০/২৫ দিনের মধ্যে বালি ভরাটের কাজ শেষ হবে। আশা করা যায় আগামী ২ মাসের মধ্যে উন্মুক্ত করা যাবে। গত মঙ্গলবার সংসদে ডা আ ফ ম রুহুল হক আশাশুনি টু ঘোলা সড়কের নতুন করে সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকা দাবি করেন। এছাড়া শ্যামনগরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য তিনি গলঘশিয়া নদীর উপর একটি ব্রিজের দাবি করেন। এটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সেজন্য তিনি সড়ক ও জনপদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি বলেন এই প্রতিবেদকে বলেন,এই রাস্তা সংস্কারের জন্য আমি সংসদে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছি। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। বাকি রাস্তার কাজও দ্রুত করতে পারবো বলে আশা করি। তিনি আরোও বলেন,”শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের মহা সড়কে। আশাশুনির উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”এখানে ১২৭ কিলোমিটার নতুন পাকা রাস্তা করা হয়েছে। আশাশুনি বেইলি ব্রীজটি নতুনভাবে করা হয়েছে। মানিকখালীতে খোলপেটুয়া নদীর ব্রিজের জন্য নতুন করে যে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে তা দ্রুত শেষ করার জন্য সেতুমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছি। খুব শীঘ্র আশাশুনিতে শিল্পকলা একাডেমি ভবনের কাজ শুরু হবে। আশাশুনি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। আশাশুনিতে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন তৈরি করা হয়েছে।