শ্যামনগর

শ্যামনগরে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের অভিযোগ

By daily satkhira

March 23, 2019

শ্যামনগর প্রতিনিধি : ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ বিহীন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে বিষয়টি অবহিত করেও কোন সুরাহা মেলেনি। সূত্রে প্রকাশ, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মিজানুর রহমান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের খলিলুর রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা । নির্বাচনী প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচশত/সাতশত টাকা, নিকটবর্তী দায়িত্ব পালনে দুইশত/তিনশত টাকা নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন স্কুল/কলেজ মাদ্রাসার প্রায় ৩০ জনকে দায়িত্ব প্রদানের খবর পাওয়া গেছে। বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক ধ্র“বজ্যোতি মল্লিক, দীনবন্ধূ কয়াল, মনোদ্বীপ কুমার সরকার সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ বিহীন শিক্ষক নজরুল ইসলাম, রোজিনা খাতুন, আব্দুল আজিজ সহ অনেক শিক্ষককে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমান লাইব্রেরিয়ান পোষ্টে চাকুরী করেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, সিনিয়র শিক্ষকদের পোলিং অফিসার, অধ্যক্ষ/সুপারঃ সহকারি প্রিজাইডিং নিয়োগ পাওয়ায় ক্ষোভের জন্ম দেয়। অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নীতিগত ভাবে নির্বাচন কর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করলে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পান। শ্যামনগরের একমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি হাইস্কুল নকিপুর সরকারি এইচ,সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডঃ মুহাঃ আব্দুল মান্নান কে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে প্রশিক্ষন দিয়েও তাকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। নৈকাটি, বুড়িগোয়ালীনি, ইসলামাবাদ, গাবুরা নিজামিয়া, যাদবপুর ফুলবাড়িয়া, কে,এ আদর্শ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০/১৫ জন শিক্ষক কর্মচারীদের টাকার বিনিময়ে দায়িত্ব দেওয়া হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মাত্র ১/২ জন শিক্ষকরা দায়িত্ব পান। ৪৮ বছর বয়সী শিক্ষক আশরাফ হোসেন জানান, এখনও সরকারী বেতন না পেলেও চাকুরীর শেষ বয়সে সরকারী দায়িত্ব পালন করে টাকা পাওয়ার জন্য ধন্না দিয়েও বিফল হল। অনেকে নির্বাচন অফিসের মিজানুর রহমান ও মাধ্যমিক অফিসের খলিলুর রহমানের নিকট টাকা দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বাধ্য হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের অনৈতিক কাজে সহায়তা করেন জনৈক হাফিজুর রহমান ও আবু কাওছার। এদিকে নির্বাচনী প্রশিক্ষনে অনেকে প্রশিক্ষন না দিলেও সংখ্যায় অধিকতর দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার অর্থলোপাটের বিষয়টি শ্যামনগরের সকলের মুখে মুখে। প্রশিক্ষনের টাকা এখনও কেহ পায়নি। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, অর্থ নেওয়ার বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিজানুর রহমান ও খলিলুর রহমান টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সুধী মহল।