আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুরে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় আনারস প্রতীকের সমর্থক এক ইউপি সদস্যসহ দু’জন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে এঘটনা ঘটে। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন, সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে ৬নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল করিম মিঠূ (৩৪) ও একই উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের সানাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক মোড়লের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৮) আহত ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মিঠু জানান, তিনি ও শফিকুল আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা। এছাড়া আনারস প্রতীকে ভোট না দিতে চেয়ারম্যান বাবু সানা কর্তৃক ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. এম শওকত হোসেন। এসব ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে শনিবার দুপুরে বাবু সানার নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী শামীম, সোহরাব ও মিঠুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন রড, জিআই পাইপ ও লাটি-সোটা নিয়ে বাজারের একটি পাইপের দোকানের সামনে তার (রেজাউল করিম মিঠূ) ও শফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মিঠু ও শফিকুল ইসলাম। এসময় উত্তেজিত জনতা বাবু সানাসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে, এ হামলার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বাবু সানা জানান, হামলা ও অবরোধের সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম। বাজারে কি ঘটেছে, পরে তা আমি শুনেছি। তিনি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলেননা বা ঘটনার সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেন এই চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মরাজপুর বাজারে সড়ক অবরোধের কথা শুনে আমরা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করাই। তিনি আরো জানান, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।