আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্র্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন কলারোয়া উপজেলার বহুড়া গ্রামের মৃত তছির উাদ্দন গাজীর ছেলে যুদ্ধকালীন কমান্ডর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফ্ফার।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করেছি। কিন্তু এ উপজেলায় জামায়ত বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ভোট বেশী থাকায় তাদের সমর্থন নিয়ে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আমীনুল ইসলাম লাল্টু বিজয়ী হন।
বিজয়ী হওয়ার পরে ওইদিন রাত থেকে নাশকতাকারী খুনি ও প্রধান মন্ত্রীরগাড়িবহরে হামলা মামলার আসামী বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কলারোয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তারা শতাধিক নৌকার কর্মী সমর্থকদের মেরে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি করে। আহতরা কলারোয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনেকে ভয়ে চিকিৎসা নিতে আসতে পারছেন না। এই সন্ত্রাসীরা আমার (মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফ্ফারের) বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী সন্তান ও পুত্রবধুকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্বক আহত করে। এমনকি তারা প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভও ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। যা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান । তারা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটুক্তি করে। এমতাবস্থায় আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।একই সাথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডর মশিউর রহমান মশু, সাবেক কমান্ডার মাহমুদ হাসান লাকী, মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, মুক্তিযোদ্ধা আমীর হামজা, আব্দুর রাজ্জাক, এড নুরুল আলম, বদরুল আলম খান, কাজী রিয়াজ প্রমুখ।