মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যক্তি পর্যায়ে ও সমিতির নামে সুদি কারবারে এলাকার মানুষ সর্বশান্ত হতে চলেছে। সুদের টাকা শোধ দিতে না পেরে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, নয়তো সুদ গুনতে গুনতে সংসার ধ্বংস করে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একশ্রেণির সুদখোর মানুষদেরকে অতিরিক্তি সুদের বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকেন। ব্যবসা, কিংবা কন্যার বিয়ে বা অন্য কোন কারনে এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে তাদের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। টাকা দেওয়ার আগে ব্যাংকের স্বাক্ষরকৃত চেকের ফাকা পাতা, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ফাকা স্ট্যাম্প নিয়ে থাকেন। ১০০০ টাকায় সপ্তাহে ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, আবার ১০০০ টাকায় মাসিক ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত যাদের কাছ থেকে যেরকম সম্ভব সুদ আদায় করা হয়ে থাকে। এছাড়া সরকার কর্তৃক ঋণ প্রদানের স্বীকৃতপ্রাপ্ত নয় এমন অসংখ্য সমিতির নামে সদস্য ছাড়াও অন্যদেরকে ঋণ দেওয়ার নামে সুদী কারবার করছে। এদের ফাঁদে পড়ে এলাকার শত শত মানুষ প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হচ্ছে। অনেকে সুদের টাকা না দিতে পেরে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে ঋণের টাকা গুনতে গুনতে সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসতে চলেছেন। এক দেড় মাস আগে আশাশুনিতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত হলে সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে অভিযোগ উঠান আশাশুনিবাসী। এরপর থেকে পুলিশ সুদখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর হলেও অনেকে গোপনে গোপনে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সমিতি গুলো চালাকি করে কারবার অব্যাহত রেখেছে। এব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।