দেশের খবর: ‘দায়িত্বহীনতা ও অবহেলায়’ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী বনানীর এফআর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম ও ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুককে (৬৫) গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন চাইবে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাতেই মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেয়া হয়। মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর জালাল।
ডিবি উত্তর বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলাইন সিথিল বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হবে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কী বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রাতেই পেয়েছি। রিমান্ডে পেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
এ ঘটনার আরেক এজাহারধারী আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল। তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি গোলাম সাকলাইন সিথিল বলেন, ‘তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অবশ্যই চলছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।’
বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৩ জন।
এ ঘটনায় শনিবার বনানী থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যু সংঘটনের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে তাসভির উল ইসলাম, জমির মালিক প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক (৬৫) ও রূপায়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে বারিধারার নিজ বাসা থেকে টাওয়ারের নকশাবহির্ভূত ও বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম এবং রাত একটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।