জাতীয়

এবার হেলে পড়েছে বনানীর সেই এফ আর টাওয়ার

By Daily Satkhira

March 31, 2019

দেশের খবর: বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২৩তলা সুউচ্চ ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিক ২৫ জনের প্রাণহানি হয়। এছাড়া ওই দুর্ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ধশতাধিক।

অগ্নিকাণ্ডের পর বনানীর এফ আর টাওয়‌ার কিছুটা হে‌লে প‌ড়ে‌ছে। ভবনের ভেতরে কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কারের আগে ভবন‌টি আর ব্যবহার করা যা‌বে না। এফ আর টাওয়ারের ব্যবহা‌রের উপযোগিতা খ‌তি‌য়ে দেখ‌তে আজ রোববার বেলা ১১টার দি‌কে তদন্ত ক‌মি‌টি ভবন‌টি প‌রিদর্শন ক‌রে। প্রাথ‌মিক পরিদর্শন শে‌ষে এ মন্তব্য ক‌রে‌ছেন ক‌মি‌টির সদস্যরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট। তখন ভবনের মালিকানা ছিল অর্ধেক-অর্ধেক। ২০০৭ সালে জমির মালিক এস এম এইচ ফারুক ভবনটি বুঝে পান। এফ আর টাওয়ারের চতুর্থ তলা থেকে ওপরের দিকে ২৩ তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে চারটি করে ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে জায়গার পরিমাণ ১৫০০ স্কয়ার ফুট।

ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ন ওই ভবনে তাদের অংশ বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই হিসাবে বর্তমানে ভবনটির মালিক মোট ২৪ জন। মালিকরা আবার কেউ কেউ তাদের ফ্লোরগুলো ভাড়া দিয়েছেন। বর্তমানে ভবনটিতে ২৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কাশেম ড্রাইসেল নামে একটি কোম্পানি তিনটি ফ্লোরের মালিক, ‘আমরা টেকনোলজিস’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আছে চারটি ফ্লোর, ডার্ড গ্রুপের রয়েছে পাঁচটি ফ্লোর।

জমির মূল মালিক ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে ভবনটির মালিক ২৪ জন, আর প্রতিষ্ঠান আছে ২৯টির মতো। এর মধ্যে একজন মালিক হলেন সানলাইট ব্যাটারির প্রস্তুতকারক কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাসভিরুল ইসলাম। তার ফ্লোরগুলো হরো ২০, ২১ ও ২২ তলা। এছাড়া, আরও মালিক যারা আছেন— তাদের কারও কারও নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে, আবার কেউ কেউ ভাড়া দিয়েছেন।’