আশাশুনি

আশাশুনিতে ভেজাল শিশু খাদ্যে বাজার সয়লাব

By daily satkhira

March 31, 2019

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল, রং মিশ্রিত, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুর বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। রকমারী নামিদামী কোম্পানির নাম ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভেজাল এসব শিশু খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। দ্রুত এসব ভেজাল শিশু খাদ্যের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন মহল। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লিচু ড্রিংক, ফুট ড্রিংক, স্ট্রবেরি, জাম, আম স্বাদের রকমারী চকলেট, ফুলক্রীম দুধ, বাহারী জুস, চুইংগাম, আচার, রকমারি চিপস, বিস্কুট, শনপাপড়ি, কেক সহ অনন্ত ৫০ ধরনের ভেজাল, শরীরের জন্য ক্ষতিকর রং মিশ্রিত শিশু খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। ১ থেকে ২৫ টাকা মূল্যের শিশুদের মন কাড়ানো এসব শিশু খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় এর চাহিদাও অনেক বেশি। কিন্তু ভেজাল এসব শিশু খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়া, অপুষ্টি, কৃমিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কম বয়সী শিশুরা। আলাপকালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, কম দামের জিনিসের ৯০ ভাগ গ্রাহক হচ্ছে শিশুরা। তাই তাদের আকর্ষণ করতে রং মিশ্রিত করে সামান্য সেকেরান দিয়ে মিষ্টি করে অনেক ধরনের জিনিস বিভিন্ন কোম্পানী বাজারজাত করছেন। তারা নিজেরাও স্বীকার করে এর মধ্যে ৯৫ ভাগ জিনিসই দুই নাম্বার বা ভেজাল, লিচিতে সামান্য ফ্লেভার দিয়ে বাকি সব পানি। পাউডার দুধ বলে সব পাউডার, জেলীতে সব কৃত্রিম জিনিস, চকোলেটের অবস্থা আরো খারাপ। জুস ও চিপস খেতেতো ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত বারণ করেন। তবে কি করবো ব্যবসার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে। আরার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের প্রতিটি দোকান এসব ভেজাল বাহারী পণ্য খুব সুন্দরভাবে প্রদর্শন করে। আর দামেও সস্তা হওয়ায় গ্রামের শিশুরা এসব পণ্য বেশি খায়। এজন্য তাদের ডায়রিয়াসহ নানা জটিল রোগ সবসময় লেগে থাকে। এজন্য তিনি অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, অনেকে আদর করে বাচ্চাদের হাতে টাকা দেয় সেটা না দিয়ে তাদের টিফিন দিতেও অভ্যস্ত হতে আহবান জানান। এছাড়া নাস্তার সময় শিশুদের কলা, বিস্কুট, ডিম এসব খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। সচেতন মহল বলেন, প্রথমত শিশুখাদ্য ভেজাল বিক্রি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা ও অভিভাবকদের বেশি সচেতন হওয়া জরুরী।