দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা প্রেসক্লাবে চাতাল ব্যবসায়ী কওছার আলী সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বুধবার সকাল ১১ টায় দেবহাটা উপজেলার বেজোরআটি গ্রামের মৃত কামাল উদ্দীন মন্ডলের ছেলে কওছার আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে ধান চাউলের চাতালের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি ব্যবসায়িক কারনে চাতালে কাজ করার শর্তে আলমগীর হোসেন, পিতা- মৃত জবেদ আলী সরদার, গ্রাম- আতাপুর, দেবহাটা, সাতক্ষীরা দাদন বাবদ ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই দাদন বা ধার হিসেবে ৮৫ হাজার টাকা দেন। এই মোতাবেক তার সাথে আলমগীর হোসেন ১৫০ হাজার স্টাম্পে চুক্তিপত্র করে। কিন্তু আলমগীর তার টাকা গ্রহন করার পরেও তার চাতালে কাজ না করে অন্য স্থানে কাজ করে যেটা তার সাথে চুক্তিপত্র অমান্য করার শামিল। যার কারনে তিনি তার (আলমগীর) কাছে তার টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে। তার কাছে তিনি এবং তার চুক্তিপত্র করার স্টাম্পের স্বাক্ষিরা অনেকবার টাকা চাওয়ার পরেও সে আমার টাকা ফেরত দেইনি। যার কারনে তিনি গত ইং ২৫-১০-২০১৮ তারিখে আলমগীরের বিরুদ্ধে “বিজ্ঞ আমলী ৭নং আদালত” সাতক্ষীরাতে ৪২০/৪০৬ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার দায়িত্ব অর্পন করেন। কিন্তু দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পক্ষপাতমূলকভাবে তার কাগজপত্র এবং মামলার স্বপক্ষের প্রমানাদী না দেখেই একতরফাভাবে মামলার বিবাদীর পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন বলে তিনি গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তাকে কোনভাবে পাত্তা দেননি। তিনি এ বিষয়ে সুষ্টু বিচার এবং তার টাকা যাতে ফেরত পান তার সুষ্টু বিচার এবং সুব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী জানিয়েছেন।