আসাদুজ্জামান: সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানির লোকজন তাদের সাতক্ষীরা অফিস গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের খুঁজে হয়রানি হচ্ছেন আমার মতো অনেক গ্রাহকই। আমরা এখন আমাদের টাকা ফেরত পাচ্ছি না, তাদের খুঁজেও পাচ্ছি না। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বদ্দিপুর কলোনির আবদুস সবুর গাজি। তিনি বলেন, সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স এখন উধাও। কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা একই এলাকার মো. ভন্টুর পুত্র ইয়াসিন আলির মাধ্যমে তিনি ৫,২৯০ টাকার একটি পলিসি খোলেন ২০১১ সালের ২০ জুন তারিখে। কিন্তু আর্থিক টানাপড়েনের কারণে তিনি পলিসি টানতে ব্যর্থ হন। এরপর ২০১৮ সালে ইয়াসিন আলি তাকে জানান, এখন জরিমানাসহ বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হলে ১৭ বছর পর এককালিন ৩ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। সবুর গাজি আরও জানান, এ অনুযায়ী তিনি ২০১৮এর ৩০ জানুয়ারি ইয়াসিনের হাতে ৪২ হাজার ৩২০ টাকা তুলে দেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত মানি রিসিট দেওয়ার কথা থাকলেও ইয়াসিন তা দেন নি। এমনকি তাকে আর খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি সন্ধানী লাইফ ইন্সিওরেন্স এর সাতক্ষীরা জেলা অফিস বড় বাজার সড়কের ওয়ান ব্যাংকের উপরতলায় যেয়ে দেখা যায় তালা বন্ধ। সেখানে কোনো সাইন বোর্ড নেই। এমনকি জেলার দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিথা গ্রামের সোহেল উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম আজাদ ও তার সহকর্মী কালিগঞ্জের বাগানলতা গ্রামের আছিরুদ্দিনের পুত্র ফারুক হোসেন সাগরও নিখোঁজ। তিনি জানতে পারেন যে ইয়াসিন ও আবুল কালাম আজাদ ভারতে অবস্থান করছেন অনেকদিন ধরে। আর তাদের কাছে পলিসি খুলে সাতক্ষীরার বিপুল সংখ্যক গ্রাহক হায় হায় করছেন। আবদুস সবুর জানান, এরা আসলে একটি প্রতারক চক্র। এই চক্রটি নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আবদুস সবুর সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, তিনি সম্প্রতি সাতক্ষীরা আমলি আদালতে ইয়াসিন , আবুল কালাম আজাদ ও সাগরের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার পর থেকে তাদের ভাড়াটিয়া ছট্টু ও আসাদুজ্জামান নামের দুই ব্যক্তি তাকে টেলিফোনে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গ্রাহক আবদুস সবুর এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।