ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: রাজধানী ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশবাসী যখন শোকে মুহ্যমান ছিল তখন ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সাথে পানির পাইপ ধরে রাখা ছোট্ট একটি শিশুর ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পরে জানা যায় ভাইরাল ওই শিশুর নাম নাঈম। এরপরই শিশু নাঈমের এমন মানবিক কাজে খুশি হয়ে অনেকে বাহবা দেন। তার এই কাজে মুগ্ধ হয়ে তো তাকে উপহার স্বরূপ ৫ হাজার ডলার প্রদানের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর ফারুক সামি।
তিনি জানান, উপহারের পাশাপাশি নাঈমের যাবতীয় পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন নাঈমকে তিনি পুরস্কার তো দিবেনই পাশাপাশি নাঈমের পুলিশ হওয়ার যে স্বপ্ন আছে তা বাস্তবায়নেও কাজ করবেন তিনি।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক শিশুর ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলো। ওই ৬ বছর বয়সী শিশু ও একটি চোট পাওয়া মুরগীর বাচ্চার ঘটনা একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
জানা গেছে, শিশুটির নাম ডেরিক সি লালচনহিম। লালচনহিম নামের ওই শিশুটি সাইকেল চালানোর সময় চাপা দেয় সেই মুরগীর বাচ্চাটিকে। এরপর থেকেই মুরগীর বাচ্চার প্রতি শিশুটির অপরাধবোধ ও সহানুভূতি মানুয়ের বিবেকে নাড়া দেয়। এটি মানুষ খুব করে ভাবাচ্ছে।
প্রতিবেশীর মুরগীর বাচ্চাটিকে সাইকেল চাপা দিয়ে অপরাধবোধে অনুতপ্ত ওই শিশুটি তার কাছে যে কয়টা টাকা ছিল তা হাতে নিয়ে মুরগীর বাচ্চাসহ পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ছুটে যায়।
সম্প্রতি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সাইরাং অঞ্চলে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শিশুটির এক হাতে ছিল ১০ টাকার একটি নোট আর অন্য হাতে আহত সেই মুরগীর বাচ্চাটি। সেই ছবি একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী শেয়ার করার পর তা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।
এরইমধ্যে প্রায় ১ লাখেরও বেশি মানুষ ছবিটির রিয়েকশন দিয়েছে এবং প্রায় ১০ হাজার মানুষ ছবিটির নিচে কমেন্ট (মন্তব্য) করেছেন।
এ বিষয়ে শিশু লালচনহিমের বাবা বলেন, যখন মুরগীটি আহত অবস্থায় দেখি, তখন প্রচুর রক্ত দেখা যায়। হাসপাতাল থেকে শেষমেষ ছোট্ট ডেরিক সুস্থ মুরগী নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে না। তবে তার সহানুভূতি এবং অপরাধবোধ সবাইকে একবার হলেও ভাবাচ্ছে এমনটাই বলছিলেন শিশুটির বাবা।