নিজস্ব প্রতিবেদক : আমার কোল থেকে আমার প্রাণের ধন ছোট্ট শিশু সন্তানকে ফুসলিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আমার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মেরেংগা গ্রামের আবদুল মালেক ভুইয়ার ছেলে রুহুল আমিন ভুইয়া। গত ৫ এপ্রিল বাজারে নিয়ে পরাটা খাওয়ানোর নাম করে আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে রোজা রাদিফাকে আমার পৈতৃক বাড়ি শহরের মিয়া সাহেবেরডাঙ্গি থেকে নিয়ে গেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন মিয়া সাহেবেরডাঙ্গি গ্রামের আবুল কাসেমের মেয়ে শিরিন সুলতানা। এ সময় তার বাবা তার সাথে উপ¯ি’ত ছিলেন। শিরিন বলেন ২০১৪ সালে ঢাকার লালমাটিয়ায় চাকুরির জন্য একটি পরিক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে পরিচয় হয় রুহুল আমিনের সাথে। এক পর্যায়ে তার সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিš‘ বিয়ের কিছুদিন পর থেকে নানা অছিলায় স্বামী রুহুল আমিন তার ওপর নির্যাতন করতো। যৌতুকের দাবি করতো। ২০১৫ সালে সন্তান প্রসবের জন্য শিরিন চলে আসেন তার বাবার বাড়ি। সদ্যজাত কন্যা সন্তান ও তাকে নিয়ে রুহুল আমিন ফিরে যায় তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে রুহুল আমিন , তার বাবা আবদুল মালেক ও মা ফিরোজা বেগম তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। এ সময় তিনি ফের বাবার বাড়ি চলে আসেন বলে জানান শিরিন। শিরিন বলেন গত মার্চ মাসে রুহুল আমিন তার বাড়িতে এসে জানান তিনি এখানে থাকবেন এবং সাতক্ষীরায় একটি কাজ দেখে নেবেন। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবে সংসার করতে থাকার এক পর্যায়ে কোনো কারণ ছাড়াই রুহুল আমিন তার মেয়ে রোজা রাদিফাকে শুক্রবার ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে রুহুল আমিন তাকে নিয়ে তার বাড়ি নান্দাইলের রয়েছেন বলেও জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিরিন বলেন রুহুল আমিন কোনো সদুদ্দেশ্যে তার মেয়েকে নিয়ে যাননি। কোনো অসদুদ্দেশ্য তার রয়েছে । আমার মেয়েটিকে সে যতেœ রাখবে নাকি তার ওপর টর্চারিং চালাবে তা আমার জানা নেই। স্বামী রুহুল আমিন আমার সন্তানকে জিম্মি করে কোনো ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছেন বলেও আমার ধারনা। শিরিন বলেন আমি এর প্রতিকার চাই। আমি আমার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ফিরে পেতে চাই। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।