খেলা

টেলরের দুই রেকর্ডে সিরিজে ফিরল নিউজিল্যান্ড

By Daily Satkhira

February 22, 2017

ইনিংসে বল বাকি একটি। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে। যেটা হতে যাচ্ছে রেকর্ড গড়া শতক! রস টেলর হয়তো ঝুঁকিটা নিতে প্রস্তুত। কিন্তু কাজটা সহজ করে দিলেন ওয়েন পারনেল। অফস্টাম্পের বাইরে ফুলটস। কাভার দিয়ে সেটা বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে সমস্যা হলো না কিউই ব্যাটসম্যানের। ধরা দিলো ইতিহাস। নাথান অ্যাস্টলকে পেছনে ফেলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গেলেন টেলর। এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটির দিনে দেশের হয়ে দ্রুততম ৬ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন।

টেলরের দুই দেশী রেকর্ডের দিনে সিরিজে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতায় কিউইরা। হ্যামিল্টনে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা।

হ্যাগলি ওভালে বুধবার শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ২৮৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। টেলর চতুর্থ উইকেটে কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ১০৪ রানের জুটিতে ইনিংসের ভিত্তি গড়েন। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৪ চারে ৭৫ বলে ৬৯ রানে ফিরেছেন।

পরে জেমস নিশামকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন টেলর। ৬ চারে ৫৭ বলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাম। আর ১৪তম ওভারে ক্রিজে আসা টেলরের নামের পাশে ১০২ রান। ৮ চারে ১০৮ বলে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ১৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তার।

যে ইনিংসটি তাকে বসিয়ে দিয়েছে অ্যাস্টলের ওপরে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে হ্যামিল্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাস্টলের কিউইদের সর্বোচ্চ ১৬টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির পাশে বসেছিলেন টেলর। কিউইদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান টেস্টেও দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ শতক ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের জার্সিতে টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭টি সেঞ্চুরির তালিকায় কিংবদন্তি মার্টিন ক্রো’কে স্পর্শ করার অপেক্ষায় ১৬টি সাদা পোশাকের শতক হাঁকানো ৩২ বর্ষী টেলর।

বোলারদের নৈপুণ্যে টেলরের শতকটি অবশ্য বৃথা যায়নি। রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৩ রানের বেশি এগোতে পারেনি। কুইন্টন ডি ককের ৫৭ রানে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু হাশিম আমলা ১০, ফ্যাফ ডু প্লেসিস ১১, জেপি ডুমিনি ৩৪, ডেভিড মিলার ২৮ রানের ইনিংসগুলো বড় করতে না পারায় চাপে থাকে দলটি।

অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ৪৫ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা করেছিলেন। পরে ৪ চার ও ২ ছয়ে ২৭ বলে ৫০ রানের ঝড় তুলে আশা জাগান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। কিন্তু বাকিরা রান ও বলের হিসেবের চাহিদায় পর্যাপ্ত জ্বালানি যোগান দিনে না পারায় ৬ রান দূরেই আটকে যেতে হয় প্রোটিয়াদের।