নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এক শ্রেণির শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে না পড়িয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাকবগণকে জিম্মি করে প্রকাশ্যে ও গোপনে বেআইনীভাবে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ কারণে অবিলম্বে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে ৭দিনের পর ভ্রাম্যমান আদালত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মঙ্গলবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
সভায় বলা হয, অনেক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে কোচিংয়ে সময় ব্যয় করছেন। এ ক্ষেত্রে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক নৈতিকতা বিবর্জিত হয়ে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ লঙ্ঘন করে চলেছেন। যা খুবই দু:খজনক। এ অবস্থা অবিলম্বে বন্ধ করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের মাধ্যমে শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণকে সর্বশেষ সতর্ক করতে বলা হয়েছে। এ জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রচারেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পিএন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভদ্রকান্তসহ কোচিং বন্ধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।