ফিচার

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শুরুতেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব

By Daily Satkhira

April 18, 2019

ডেস্ক রিপোট: স্বাস্থ্য খাতে বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতি নিয়ে শুরুতেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে বেশ কিছু কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন নিয়ে এ দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিষয়টি এখন স্বাস্থ্য খাতে সবার মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। এসব বদলি ও পদায়ন নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নন; সচিব, ডিজিসহ কর্মকর্তাদের ভেতরেও মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে দূরত্ব।

অভিযোগ উঠেছে, বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত আদেশ জারির আগপর্যন্ত মন্ত্রী ও ডিজি ছাড়া অন্যরা কিছুই জানতে পারছেন না। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই অন্ধকারে থাকছেন। আদেশ জারির পর তাদের কাছে রুটিনমাফিক স্বাক্ষর করার জন্য ফাইল পাঠানো হয়। গত ১৪ মার্চ একযোগে ৩৩ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন নিয়ে আদেশ জারির আগে প্রতিমন্ত্রী কিছুই জানতেন না। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধও হন। প্রথমে আদেশের ফাইলে স্বাক্ষরও করতে চাননি। পরে মন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করলেও দু’জনের দূরত্ব কমেনি বলে সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির বিষয়ে তিনি অবগত নন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পদে কিছু রদবদল আনা হয়েছে। আরও রদবদল করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এসব রদবদল করা হয়। তবে সব সময় আলোচনা করা সম্ভব হয় না।

আগের মন্ত্রীর সময় কমিটির মাধ্যমে বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্তত ১০ জন চিকিৎসক-কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি, কেনাকাটাসহ সব কাজ সম্পন্ন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। ওই কমিটিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায় সবাই ছিলেন। সবার সঙ্গে আলোচনা ও যাচাই-বাছাই করে এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হতো।

সে সময় বর্তমান মন্ত্রী একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি ওই কমিটিরও সদস্য ছিলেন। এসব বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য চাওয়া হলে জাহিদ মালেক বলেন, সে সময় আন-অফিসিয়ালি একটি কমিটি ছিল। সেটি অফিসিয়াল কোনো বিষয় ছিল না। এখন সেটি ফলো করা হয় না। মাঝেমধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার মাঝেমধ্যে বসা হয় না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন কিংবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যারা ভালো কাজ করেছেন, তাদের এসব পদে পদায়ন করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি সবার সম্পর্কে অবগত নই। সচিব, ডিজিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, তারাও প্রস্তাব করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে চিনলে তার নাম প্রস্তাব করি। এরপর যাচাই-বাছাই করে বদলি ও পদায়ন করা হয়। প্রতিমন্ত্রীও রদবদলের বিষয়ে কিছু বললে সেগুলো করে থাকি। অন্য কোনো কর্মকর্তা কারও নাম প্রস্তাব করলে সেটিও করি। কাজেই সবাই সব সময় সবকিছু জানবে এমনটি নয়।

আদেশ জারি যেভাবে :নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ১৪ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শাখায় ৩৩ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন করা হয়। ওই আদেশটি যখন জারি করা হয়, সেদিন টাঙ্গাইল কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওই দিন মন্ত্রণালয়ে না গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অফিস করেন। সেখান থেকেই ৩৩ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়নের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিমন্ত্রীর দু-একটি সুপারিশের কথা জানানো হলে তা নাকচ করে দ্রুত আদেশ জারি করার তাগিদ দেন মহাপরিচালক। ওই দিন সন্ধ্যায় আদেশটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। আদেশসংবলিত কাগজপত্রের ফাইল স্বাক্ষরের জন্য ১৭ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর কক্ষে নিয়ে গেলে তাতে তিনি স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভও প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই সপ্তাহ পর প্রতিমন্ত্রী আদেশের ওই ফাইলে স্বাক্ষর করেন।

অনুগতদের পৃষ্ঠপোষকতা! :আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর আগের মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপরই স্বাস্থ্য খাতে বদলি ও পদায়নে হাত দেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যরা জানতে পারছেন না। এ জন্য অনেকে মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে দায়ী করেছেন। মহাপরিচালক হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার পরপরই তিনি প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। মন্ত্রীর সঙ্গে সখ্যের কারণে আগের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিজের অনুগতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। মহাপরিচালকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিএমএ ও স্বাচিপের নেতারাও ক্ষুব্ধ।

স্বাচিপের এক শীর্ষ নেতা বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব পেয়েই তিনি বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করেছেন। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের চিত্র তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদেশের ফাইলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর না করার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। পরে তিনি মন্ত্রণালয় থেকে জেনেছেন, ফাইলে সবার স্বাক্ষর আছে।

ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, আগের মন্ত্রীর সময়ে কমিটির মাধ্যমে এসব কার্যক্রম করা হতো। সেই কমিটি এখন আর নেই। তা ছাড়া যেদিন আদেশ জারি করা হয়, সেদিন প্রতিমন্ত্রী ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ কারণে হয়তো তিনি পরে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

যেসব পদে রদবদল :স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. আমিরুজ্জামানকে একই শাখায় চলতি দায়িত্বে পরিচালক করা হয়েছে। এই শাখার পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে আইএইচটির অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ওই অধ্যক্ষকে পরিচালকের সমমান বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ এই কর্মকর্তাকে কিছুদিন আগে পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। এমএনসিএঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. সুলতান মো. শামসুজ্জামানকে চলতি দায়িত্বে আইপিএইচের পরিচালক করা হয়েছে। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. সামসুল হককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করে এমএনসিএঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। উপপরিচালক (হোমিও ও দেশজ) এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এফ বি এম আবদুল লতিফকে একই শাখায় চলতি দায়িত্বে পরিচালক করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করে এএমসির লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। আইপিএইচএনের পরিচালক ও এনএনএস প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. ইউনুসকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়েছে।

এনএনএস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমানকে একই প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. খলিলুর রহমানকে আইপিএইচএনের পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড এইচএমপিডির উপপরিচালক ডা. সত্যকাম চক্রবর্তীকে হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটে সংযুক্ত উপপরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসানকে চলতি দায়িত্বে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) করা হয়েছে। পরিকল্পনা ও গবেষণা শাখার পরিচালক এবং পিএমআর লাইন ডিরেক্টর ডা. মেহের পারভীনকে পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। উপপরিচালক (হাসপাতাল-২) ডা. শরীফুল হক সিদ্দিকীকে চলতি দায়িত্বে পরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) করা হয়েছে। আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মেডিকেল এন্টোমলজি) ডা. মিনতী রানী সাহাকে একই প্রতিষ্ঠানের এপিওডেমিলজি বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কে এম আহসান হাবিবকে কিছুদিন আগে পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) এবং স্বাস্থ্য ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখার লাইন ডিরেক্টর করা হয়। কিন্তু পরে তাকে শুধু পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং লাইন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামকে। স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর প্রধান ও হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন অ্যান্ড লাইফস্টাইল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর মো. আবদুল আজিজকে স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে। লাইন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. এহসানুল করিমকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি থাকা পরিচালক ডা. আবদুল গনিকে আইইডিসিআরে পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিভাগীয় পর্যায়ে :স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (পার-১) শাখার উপপরিচালক ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমামকে চলতি দায়িত্বে ঢাকার বিভাগীয় পরিচালক করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্যকে একই বিভাগে চলতি দায়িত্বে পরিচালক করা হয়েছে। বাগেরহাটের ম্যাটস অধ্যক্ষ ডা. আবদুর রকিবকে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক এবং খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুশান্ত কুমার রায়কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়েছে। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ডা. আবদুর রহিমকে বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. আবুল কাশেমকে চলতি দায়িত্বে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক এবং ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবিরকে চলতি দায়িত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদকে চলতি দায়িত্বে রংপুর বিভাগীয় পরিচালক করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুর রহমানকে চলতি দায়িত্বে কিশোরগঞ্জের শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী এ ধরনের আদেশের সমালোচনা করেছেন। ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ধরনের আদেশ অযৌক্তিক। একই শাখায় একজনকে পরিচালক ও একজনকে লাইন ডিরেক্টর করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো শাখায় দু’জন, এমনকি তিনজন পরিচালককে যুক্ত করা হয়েছে। এতে একদিকে জনশক্তির অপচয় হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কাজকর্মে গতিশীলতার পরিবর্তে সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হতে পারে। এর পরিবর্তে মন্ত্রণালয়ের মতো নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুটি ডিজির পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসাশিক্ষা পৃথক হয়ে জনশক্তি ভাগ হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।