আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে ছ’দিনে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিশেধক টিকা প্রদান সমাপনী দিনে ২,১৮৯ টি কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার ১১ ইউনিয়নে এক যোগে টিকা প্রদান শুরু করে বৃহস্পতিবার প্রথম রাউন্ড সম্পন্ন হয়। সরকারের কুকুরকে জলাতঙ্ক রোগ থেকে প্রতিশেধক টিকা দান কর্মসূচীর ছ’দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রথম রাউন্ডে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলতে থাকে। সমাপনীতে মোট বুধহাটা ইউপির স্বাস্থ্য সহকারি আবু মুছার তত্তাবধানে ডগ ক্যাচার সোহাগ ও সানির নেতৃত্বে কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৭৬টি এবং সম্ভব হয়নি ৩৫টি, শোভনালীতে কবির আহম্মেদের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ২৭৩টি এবং সম্ভব হয়নি ৩৭টি, কুল্যায় রমেশ চন্দ্র মন্ডলের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ২১৮টি এবং সম্ভব হয়নি ১০১টি, আশাশুনি সদরে সিরাজুম মনিরের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ৩০৪টি এবং সম্ভব হয়নি ৭৮টি, দরগাহপুরে লিয়াকত আলীন তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৮৯টি এবং সম্ভব হয়নি ৫৮টি, বড়দলে শহিদুল ইসলামের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৪৫টি এবং সম্ভব হয়নি ৪৩টি, শ্রীউলায় হাসান মাহমুদের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১২৭টি এবং সম্ভব হয়নি ৪৬টি, খাজরায় আকরামুজ্জামানের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৭২টি এবং সম্ভব হয়নি ৫৬টি, আনুলিয়ায় আব্দুস সাত্তারের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ২৪০টি এবং সম্ভব হয়নি ৩০টি, প্রতাপনগরে ফজলুল হকের তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৯৭টি এবং সম্ভব হয়নি ২৯টি, এবং কাদাকাটি আব্দুল্লাহর তত্তাবধানে টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৮০টি এবং সম্ভব হয়নি ৪৫টি কুকুরকে, আশাশুনি উপজেলায় মোট ২,১৮৯টি (শতকরা ৮৯.৪৫ ভাগ) কুকুরকে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। মানুষ দেখে দৌড়ানো, খাচা থেকে বেরিয়ে যাওয়া বা অন্য কোন কারনে ৫৬৬টি (শতকরা ২০.৫৫ ভাগ) কুকুরকে টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মাহবুবর রহমান জানান।